লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ (কি দেখবেন?)

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের বনভূমিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বহুল দর্শনীয়। চমৎকার জীববৈচিত্র, কোলাহলমুক্ত নৈসর্গিক পরিবেশ ও দীর্ঘ ট্রেইলের সম্মেলন এই উদ্যানটিকে দর্শনার্থীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয় করে তুলেছে।

অরণ্যপ্রেমিক হোন বা না হোন কর্মব্যস্ত জীবনে লাউয়াছড়ার বিভিন্ন ট্রেইলের ঝিঝি পোকার শব্দ আর মুক্ত অক্সিজেন আপনাকে চিরপ্রশান্তি এনে দিবে!

কিন্তু, উদ্যানটিতে ঠিক কি কি দেখার আছে, কিভাবে এটি জাতীয় উদ্যান হলো, মনুষ্যসৃষ্ট নাকি প্রাকৃতিক কিংবা কিভাবে যাবেন, কোথায় খাবেন, কোথায় থাকবেন বা আশেপাশে কোথায় ঘুরবেন সবকিছুই জানতে চাইবেন।

আর তাই আপনার জন্য আমার এই লেখা। পুরো ভ্রমণ গাইডের সাথে বোনাস হিসাবে আমার নিজের লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক ভ্রমণের প্রাক-অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

শুনতে ভাল লাগছে?

তাহলে এক গ্লাস চা হাতে নিয়ে শুরু করা যাক?

লাউয়াছড়ার ইতিহাস

লাউয়াছড়া একটি পরিকল্পিত উদ্যান। ১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার মৌলভীবাজার ফরেস্ট রেঞ্জের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ রেঞ্জে পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করে। ২,৮৪০ একর আয়তনের রেঞ্জটি তখন “পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন” নামে পরিচিত ছিল।

একসময়ে বৃহত্তর সিলেটের সবজায়গায় চিরহরিৎ রেইন ফরেস্ট ছিল বলে জানা যায় যা কিনা জনসংখ্যার চাপ, বানিজ্যিক চা বাগান এবং নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের কারণে অস্তিত্ব হারিয়েছে।

ভানুগাছ উদ্যান কিভাবে জাতীয় উদ্যান হলো

১৯৯৬ সালে “পশ্চিম ভানুগাছ বনের” ১২,৫০ হেক্টর এলাকাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুসারে “জাতীয় উদ্যান” হিসাবে নামকরণ ও ঘোষণা করা হয়।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কোথায়?

লাউয়াছড়া উদ্যান বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। যদিও, অনেকেরই ভুল ধারনা আছে লাউয়াছড়া উদ্যান শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে যার অবস্থান ১২৫ কি.মি উত্তর-পূর্বে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কিভাবে যাবেন?

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সরাসরি বাস ও রেলযোগে লাউয়াছড়া উদ্যানে যেতে পারেন। বিমানপথে আসতে হলে, সিলেটের ওসমানি বিমান বন্দর হয়ে বাসযোগে শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়ায় যেতে পারেন, তবে এটা আপনাকে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের চেয়ে যন্ত্রনা বাড়তি ভোগান্তি দিবে।

এখানে দেখে নিন- ঢাকা থেকে কিভাবে শ্রীমঙ্গল যেভাবে যাবেন

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে অটোরিকশা কিংবা সিএনজি অথবা চান্দের গাড়ী ভাড়া করে লাউয়াছড়ায় পৌছাতে পারবেন। বড়জোর ১৫-২০ মিনিট সময় লাগবে।

দেখার কি আছেঃ আমার লাউয়াছড়া ভ্রমণ এর গল্প

লাউয়াছড়ার মূল আকর্ষণ হাইকিং। নৈসর্গিক পরিবেশে হাইকিংয়ের জন্য লাউয়াছড়া এক আদর্শ জায়গা। জাতীয় উদ্যানটির সুবিশাল ৩ টি ট্রেইল ধরে প্রাকৃতিক পরিবেশে দু’পাশে ঘন জঙ্গল, উদ্ভিদ ও বণ্যপ্রানীর দেখতে দেখেতে হাইকিং করার চেয়ে মজার আর কি হতে পারে?

জীববৈচিত্রের অভয়াশ্রম হিসাবে লাউয়াছড়া ব্যাপক সমাদৃত। সরকারী হিসাব অনুযায়ী, ১২০০ হেক্টরের বনাঞ্চলজুড়ে প্রায় আড়াই হাজারের অধিক বন্যপ্রানী রয়েছে যার মধ্যে দূর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় ৪৬০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।

বুঝতেই পারছেন, ছোট আয়তনের বন হিসাবে এটি একটি জীবন্ত সংগ্রহশালা।

যা বলছিলাম, লাউয়াছড়ার এসমস্ত জীববৈচিত্র ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনাকে বনের মধ্যে থাকা ৩ টি ট্রেইল ধরে ঘুরে দেখতে হবে।

লাউয়াছড়া উদ্যানে একদল পর্যটক
লাউয়াছড়ায় ভ্রমণচারীর দল

লাউয়াছড়ায় গিয়েছিলাম ভ্রমণচারীর সাথে গ্রুপে করে। এটা ছিল ডে-ট্রিপ। ডে- ট্রিপেই আমরা পুরো শ্রীমঙ্গল ঘুরেছিলাম।

মাত্র ১৫৯৯ টাকা খরচ হয়েছিল। এখনও হয়ত ভ্রমণচারীর এই প্যাকেজটা পেতে পারেন, এই যে লিংক

মাধবপুর লেক ঘুরে আমরা সোজা চলে এসেছিলাম লাউয়াছড়ায়। জনপ্রতি ২০ টাকা টিকিট নিয়ে প্রবেশ করলাম বিখ্যাত এই রেইন ফরেস্টে। (যদিও, নিজ পকেট থেকে দেওয়া লাগেনি, প্যাকেজের ভেতরেই ছিল)

যাইহোক, আমরা মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করে সোজা হাটতে থাকলাম। মিনিট পাঁচেক হাটার পর, পৌছালাম লাউয়াছড়ার বিখ্যাত সেই ট্রেন লাইনে, যেখানে মারাত্নক সব জনপ্রিয় সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে।

হুমায়ুন আহমেদের “আমার আছে জল” এবং হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা “অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ” এর শ্যুটিং হয়েছিল এই রেল লাইনেই।

শুধু তাই নয়, এই রেল লাইনের উপর তোলা একটা ছবি “বাংলাদেশ উইকিলাভ আর্থ ২০১৭” ফটো কম্পিটিশনে প্রথম পুরস্কার লাভ করে।

যেহেতু, আমি আগেই জানতাম ব্যপারটা এবং নিজ চোখে দেখার পর ছবির মতনই সুন্দর মনে হলো, কালবিলম্ব না করে ঝটপট রেললাইনে ছোটখাট একটা ফটোসেশন করে নিলাম। ?

লাউয়াছড়া উদ্যান ছবি
রেললাইনের উপর পোজ নিয়ে আমার বন্ধু আকাশ ?

রেললাইনের সামনে থেকে ২ টা ট্রেইল চলে গেছে দুই দিকে। আমি ও আমার সাথে অন্যান্যরা আগালাম ডানের ট্রেইল ধরে। ট্রেইলগুলো বিভিন্ন স্থানে আবার সাব-ট্রেইলে বিভক্ত হয়ে গেছে। তবে, সব সাব-ট্রেইলে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত নয়, অথবা উন্মুক্ত থাকলেও নিরাপদ নয়। তাই, সতর্কতার সিদ্ধান্ত নিবেন।

বনের মধ্যে ট্রেইলের ধরে দিয়ে হাটার সময় আরেকটা মজার অভিজ্ঞতা হবে। ট্রেইলের মধ্যে ঝিঝিপোকার সাইরেনের মত শব্দ শুনতে পাবেন, যা আপনাকে অনেকটা বন্য পরিবেশের সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা দিবে।

লায়য়াছড়ার গহীন অরন্যে কাঠের ব্রিজ

ঘন্টাখানেক ঘনজঙ্গলে বেষ্টিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে হাইকিং শেষ করে ফিরে এলাম। পথিমধ্যে বিভিন ধরনের বানর, পাখি এবং দূর্লভ প্রজাতির গাছপালা ছাড়া উল্লেখযোগ্য প্রাণী চোখে পড়েনি।

এর কারণ হলো, ট্রেইল জুড়ে এত এত উৎসুক দর্শনার্থী হাইকিং করে যে ট্রেইলের আশেপাশে বন্যপ্রাণীগুলো থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেনা। সেখানে বন্যপ্রানী হল সেলেব্রিটি, তাই যতটা সম্ভব তারা দর্শনার্থীদের থেকে দূরে থাকতে ভালবাসে

তবে, ভাগ্যসুপ্রসন্ন হলে, রাস্তায় সেলেব্রিটিদের সাথে আচমকা সাক্ষাৎ হয়, বন নায়ক-নায়িকাদের সাথে আপনার তেমন সাক্ষাৎ হলেও হতে পারে!

তাহলে, এই বনে আসলে কি কি বন্যপ্রানী আছে? আর দেখার ই বা কি কি আছে? নিরাশ হবার কিছু নেই, আপনাকে সবিস্তারে জানাচ্ছি।

পাখি

জাতীয় উদ্যানটি’তে যেসমস্ত বন্য পাখির বিচরন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

  • সবুজ ঘুঘু
  • সবুজ সুইচোরা
  • তোতা
  • ছোট ফিঙে
  • তুর্কি বাজ
  • কেশরাজ
  • সবুজ কোকিল
  • সাদা ভ্রু সাতভায়লা
  • ঈগল
  • হরিয়াল
  • কালোমাথা টিয়া
  • কালো ফর্কটেইল
  • ধূসর সাত শৈলী
  • পেঁচা
  • লেজকাটা টিয়া
  • কালোবাজ
  • হীরামন
  • কালোমাথা বুলবুল
  • ধুমকল

বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক

সারা পৃথিবীজুড়েই উল্লুক বিপন্নপ্রায় এবং বিলুপ্তের দ্বারপ্রান্তে।

কমলগঞ্জের এই জাতীয় উদ্যানেই রয়েছে সেই বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের আবাস রয়েছে, যদিও এখানেও আশঙ্কাজনকভাবে এ সংখ্যাটি কমে যাচ্ছে। মাত্র দশক দুয়েক আগে উল্লুখের যে সংখ্যাটি কয়েক হাজার ছিল, সেটি আজ কমে ৪৯ টি তে নেমে এসেছে। লাউয়াছড়ার আশেপাশের কয়েকটি বন মিলিয়ে যে সংখ্যাটি ১০০ এর কাছাকাছি।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
লাউয়াছড়ায় বিলুপ্তপ্রায় হনুমান

বিলুপ্তপ্রায় হনুমান

অতি বিপন্নপ্রায় “ফ্যায়র্স লাঙ্গুর” (Phayre’s Langur) বা “চশমা পরা” প্রজাতির হনুমান রয়েছে এ জাতীয় উদ্যানটিতে।

অতি বিপন্নপ্রায় এই হনুমানটি শ্রীমঙ্গলের বিশমনি গ্রামে মাছের খামারে ধরা পড়ে, যা পরে শনাক্তের পর প্রথমে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় রাখা হলেও পরে তা লাউয়াছড়া উদ্যানের জনকীছড়ায় রাখা হয়। উল্লেখ্য, হনুমানটি যখন ধরা পড়ে এর বয়স ছিল মাত্র তিন মাস

বিপন্নপ্রায় শকুন

আপনার জন্ম যদি নব্বই’য়ের এর পরে হয়ে থাকে, খুব সম্ভবত আপনার “শকুন” চাক্ষুস দেখার সৌভাগ্য হয়নি। অথচ, একটা সময় ছিল যখন গ্রামে-গঞ্জে শকুনের অবাধ বিচরন খুবই স্বাভাবিক ছিল।

শকুন একটি দেশের একটা স্থায়ী ও উপকারি পাখি যা পরিবেশকে রোগজীবানু ও দূষনমুক্ত রাখে। বলাই বাহুল্য, বিলুপ্তপ্রায় এই প্রানীটির সংরক্ষন কতটা জরুরি

কেন শকুন বিলুপ্তির পথে এবং সংরক্ষনে সরকার কি করছে, তা জানতে আগ্রহ লাগলে বাংলা ট্রিবিউনের এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে চাইবেন।

দেশের এখন পর্যন্ত টিকে থাকা শকুনের যেসব নিরাপদ আবাসস্থল রয়েছে, তার মধ্যে সিলেট জোনে অবস্থিত লাউয়াছড়া বনভূমি অন্যতম।

বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ

লাউয়াছড়া জাতীয় বনে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।

যেমন?

  • নাগেশ্বর
  • অর্কিড
  • লোহাকাঠ
  • তুন
  • কড়াই
  • জাম
  • ডুমুর
  • চাপালিশ
  • জামরুল
  • মেনজিয়াম
  • গামার
  • সেগুন
  • গর্জন
  • ইত্যাদি।

এছাড়া আর কি দেখার আছে?

আদিবাসীপল্লী

উদ্যানটির পাশেই ছোট ছোট টিলার মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির নিবাস। এখানে গেলে দেখতে পারবেন খাসিয়া নৃগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে। অনুধাবন করতে পারবেন, কিভাবে খাসিয়ারা বন্য পরিবেশে প্রকৃতির সাথে একাত্নতা করে তাদের জীবন পরিচালনা করছে।

তাই স্পষ্টত আদিবাসী পল্লীতে ঘুরে আসাটা মূল্য উসুল করে।

লাউয়াছড়ার প্রবেশ টিকেট মূল্য কত?

লাউয়াছড়ার প্রধান প্রবেশ ফটক
লাউয়াছড়ার প্রবেশ গেইট
বিভাগমূল্য
প্রাপ্ত বয়স্ক দেশীয় পর্যটক৫০ টাকা
দেশীয় শিক্ষার্থী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক২০ টাকা
বিদেশী পর্যটক৫০০ টাকা
লাউয়াছড়া উদ্যানের বর্তমান প্রবেশ টিকেট মূল্যের পূর্নাঙ্গ তালিকা

নোটস

  • গাড়ি (মাইক্রোবাস, জীপ ও প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের জন্য বাড়তি ২৫ টাকা চার্জ দিতে হবে।
  • শ্রেনীভেদে গাইড নিতে হলে ২০০-৬০০ টাকা খরচ হবে।

লাউয়াছড়া ন্যাশনাল ফরেস্ট রিভিউ

ভ্রমণচারী এডিটোরিয়াল টিম

উদ্যানের-প্রবেশ-গেইট
হাইকিং
নিসর্গ ভ্রমণ
খরচ
5

কোথায় থাকবেন কোথায় খাবেন?

আপনার গন্তব্য যদি হয় শুধুমাত্র লাউয়াছড়া তবে হয়ত দিনে গিয়েই দিনেই ফিরে আসতে পারবেন, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা স্থানীয় ব্যতিত বাইরের পর্যটকেরা চাইবেন না। যদিও শ্রীমঙ্গলের সবগুলো স্পট একদিনেই ঘুরে আসা যায়। সেক্ষেত্রে, ভ্রমণচারীর ডে-ট্রিপে প্যাকেজটা বিবেচনায় রাখতে পারেন।

তবে, আরাম করে সবগুলো স্থান ঘুরে দেখতে হলে থাকতেই পারেন। বিশাল এই আর্টিকেলে আমি শ্রীমঙ্গলের হোটেল ও রিসোর্ট গুলো রিভিউ করেছি। অবশ্যই এটি দেখে নিন।

তবে বিশেষভাবে লাউয়াছড়ার সন্নিকটে থাকার জন্য ন্যাযা দামে ভাল অপশন হবে, টি রিসোর্ট

চা গবেষনা বোর্ডের এই রিসোর্টে রয়েছে ১২ টি কটেজে। মোটামুটি সব ধরনের সুবিধা সম্বলিত এই রিসোর্টটিতে শ্রেনীভেদে কটেজ ভাড়া নিতে খরচ হবে, ২০০০-৮০০০ টাকার মত। প্রতিটি কটেজে অবশ্য ৩-৪ জন পর্যন্ত থাকা যায়। রিসোর্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন তাদের ওয়েবসাইটে

চা বোর্ডের এই রিসোর্টটি বুক দিতে তাদের সাথে এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেনঃ Mob:- 01712-071502, Tel:- 08626-71207

সন্নিকটে কোনো বিলাসবহুল রিসোর্ট খুজলে, গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট ভাল অপশন হতে পারে।

বোনাস টিপঃ এই রিসোর্টের সাথেই রয়েছে চা জাদুঘর ! তাই, আমার মতে টি রিসোর্ট সেরা একটা চয়েজ হতে পারে রিসোর্টটি।

ভ্রমণচারীরা বার বার এসব জিজ্ঞাসা করে

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কি ধরনের বনভূমি?

লাউয়াছড়া উদ্যান একটি চিরহরিৎ রেইন ফরেস্ট (বর্ষাবন)।

লাউয়াছড়ার আয়তন কত?

লাউয়াছড়া বনের আয়তন ১২৫০ হেক্টর।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কোন জেলায় অবস্থিত?

লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক সিলেট বিভাগে মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত।

লাউয়াছড়া ভ্রমণে গেলে একদম আশেপাশে আর কোথায় ঘুরতে যাব?

লাউয়াছড়ার সন্নিকটেই রয়েছে-

  • চা জাদুঘর
  • রাবার বাগান
  • মাধবপুর লেক

লাউয়াছড়া ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন?

সারা বছর জুড়েই উদাানটিতে মানুষ ঘুরতে আসে!

তবে, বর্ষাকালে সবসময় বনটির ট্রেইল হাইকিং এর উপযোগী থাকেনা।

এ কারনে শীতকাল বিশেষত, অক্টোবর থেকে মার্চ বেশি উপযুক্ত।

অতঃপর?

লাউয়াছড়ার নির্ভেজাল অক্সিজেন আপনাকে নিঃসন্দেহে ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দিতে পারে। আর নিসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রিয়জনের সাথে হাইকিং আপনাকে জীবন পরিবর্তনকারী এক অভিজ্ঞতা দিতে পারে। জানেন কি হাইকিং মানসিক স্বাস্থ্য ও সুন্দর সম্পর্কের জন্য কতটা উপকারী?

কবে যাচ্ছেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণে?

মাত্র ১৫৯৯ টাকা খরচে ভ্রমণচারীর সাথে যাবেন নাকি?

প্রস্থানের পূর্বে আমার লেখার তথ্যগত ভুল কিংবা অপরিপূর্নতা সম্পর্কে একটা মন্তব্য করলে খুশি হব!

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

মন্তব্য করুন