বাইক্কা বিল জলাভূমি অভয়াশ্রম (শ্রীমঙ্গল)

কল্পনা করুন, বিকালে মৃদু রোদের আভায় বিলের স্বচ্ছতোয়া জলে পড়ছে, মাছ লাফালাফি করছে, মৃদু-মন্দ বাতাস আপনাকে সজীব করে দিচ্ছে, প্রশান্তির শ্বাস নিয়ে যখন আকাশের পানে তাকালেন, তখণ ঝাঁক বেধে উড়ে যাওয়া অতিথি পাখির সৌন্দর্য আপনার চোখকে ঝলসে দিল, কলতান আপনার কান জুড়িয়ে দিল

ঠিক যেমনটা কবি বলেছেন, “হাজার মাইল পথ পেরিয়ে এসেছে অতিথী পাখি,নদী নালা খাল বিলে যে ওদের চোখে জুড়াই দুআঁখি’’।

কেমন হয় আপনাকে যদি ঠিক তেমনই একটা বিলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই?

হ্যা, ঠিকই ধরেছেন, অভূতপূর্ব সুন্দর এই বিলটি শ্রীমঙ্গল এর বাইক্কা বিল ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা।

পুরো লেখাটি পড়ুন যদি আপনি জানতে চান:

চলেন তাহলে, জল-জঙ্গল ও জীববৈচিত্রের সম্মেলনে তৈরি অসাধারন সুন্দর এই বিলটির সাথে মিতালী করি?

বাইক্কা বিল কোথায় অবস্থিত?

দর্শনীয় স্থানবাইক্কা বিল
অবস্থানশ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, বাংলাদেশ
পরিচিত নামবাইক্কা বিল, হাইল হাওর
ঢাকা থেকে দূরত্ব২০০ কি.মি 
ড্রোন উড়ানো যাবে?হ্যাঁ

বাইক্কা বিলের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা শ্হর থেকে বিলটি ১০ কিমি. দূরে শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার মহাসড়ক অভিমুখের বাম পাশে অবস্থিত। 

হাইল হাওরের চাপরা-মাগুরা ও যাদুরিয়া বিল এবং পার্শ্ববর্তী জলাভূমি একত্রে বাইক্কা বিল নামে পরিচিত যা প্রায় ১৭০ হেক্টর জলাভূমির উপর বিস্তৃত।

২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ভুমি মন্ত্রনালয় এই বিলটিকে হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাইক্কা বিল কিভাবে যাবেন?

প্রথমে আপনাকে শ্রীমঙ্গলে আসতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেনে ও বাসে সরাসরি শ্রীমঙ্গলে চলে আসুন। ট্রেনের সময়সূচি পাবেন এখানে। এসি-নন এসি ভেদে ৩৯০ টাকা থেকে জনপ্রিয় সব বাস ই পেয়ে যাবেন। ট্রেনের গেলে ভাড়া কম লাগবে। তবে, ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিডিউল নাও মিলতে পারে।

খুটিনাটিসহ বিস্তারিত দেখুনঃ শ্রীমঙ্গল কিভাবে যাবেন?

শ্রীমঙ্গলে এসে পড়লেন, এখন তবে শ্রীমঙ্গল থেকে বিলটিতে কিভাবে যাবেন? শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে সিএনজি কিংবা চান্দের গাড়ী ভাড়া নিয়ে বিলটিতে যাওয়া যায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্যটকেরা একবারে পুরো শ্রীমঙ্গলের সবগুলো প্লেস ঘুরে দেখার জন্য সিএনজি বা চান্দের গাড়ী রিজার্ভ করে। আমি যখন গিয়েছিলাম, তখনও ঠিক তাই করেছিলাম।

তবে, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে শুধু এখানে গেলে ভাড়া লাগে ৫০-৭০ টাকা । আর সেক্ষেত্রে আপ-ডাউন একসাথে ঠিক করা উচিত হবে কারণ ফিরতি পথে গাড়ি পেতে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়।

বাইক্কা বিল ভ্রমণ: কি কি দেখবেন?

 শাপলা ফুল হাতে বাইক্কা বিলে নৌকার উপর এক রমণী

মূল আকর্ষণ:

  • বিলের স্বচ্ছ-শ্যামল বিস্তীর্ণ জলরাশি;
  • নানারকম পাখির ঝাক
  • শীতকালের অতিথি পাখির কলতান
  • ওয়াচ টাওয়ার থেকে টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে পুরো বিল অবলোকন
  • পড়ন্ত বিকেলে মৃদু রোদে শিশির সিক্ত ঘাসে বিলের পাশের জঙ্গলের মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করা।
  • পড়ন্ত বিকালে নৌকায় চড়ে বিল ঘুরে দেখা।

বিলটির প্রবেশ পথ পার হয়ে জলাবনের মধ্য দিয়ে ওয়াচ টাওয়ারে যাবার পথ আমার কাছে মোহনীয় লেগেছিল। বিকাল বেলার মৃদু রোদে ওয়াচ টাওয়ার থেকে বিলের পানিতে রোদের ঝিলিক আর পানির উপর দিয়ে উড়ে বেড়ানো পাখির ঝাক সত্যিই মনোরম একটা অভিজ্ঞতা দেয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে প্রচন্ডরকম ভালো লেগেছিল।

বাইক্কা বিল

আর পড়ন্ত বিকালে নৌকা ভ্রমণের পরম আনন্দ আপনাকে অভুলনীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতায়। পরিপূর্ণতা এনে দিবে। 

জনপ্রতি আধঘন্টা নৌকা ভ্রমণের খরচ ২০ টাকা। আর ঘন্টাপ্রতি এই খরচ ৩০ টাকা।

বাইক্কা বিলের পরিযায়ী পাখি

আপনি জানেন কি হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম মাতৃমৎসভান্ডার এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত “গুরুত্বপূর্ণ পাখি এলাকা”? 

বোধহয় সে কারনেই  এই জলাবন অভয়াশ্রমের মূল আকর্ষণ পরিযায়ী পাখি। শীতকালে ঝাঁকে ঝাঁকে দূরদেশ থেকে অতিথি পাখির আগমনে বিলের আকাশ বাতাস কলকাকনিতে মুখরিত হয়।

২০০৩ সালে করা এক সমীক্ষা থেকে জানলাম, জলাভূমিটিতে অন্তত ২০৩ প্রজাতির পাখি রয়েছে যার মধ্যে ১৫৩ প্রজাতির অতিথি পাখি এবং বাকি ৫০ প্রজাতির স্থায়ী পাখি। সাইবেরিয়া, চীন, হিমালয়, ভারত, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে এখানে।

বিলটিতে দেশীয় পাখির সংখ্যা কমছে, তবে আগের তুলনায় অতিথি পাখির সমাগম বাড়ছে। ক্রমহ্রাসমান জলবন এর একটি প্রধান কারন হতে পারে। পাখি শিকারীদের দৌরাত্নও আরেকটি শক্তিশালী কারণ হতে পারে।

অভয়াশ্রমটিতে শীতকালে প্রধান প্রধান যেসব অতিথি পাখির দেখা মেলেঃ

  • বড়ঠুঁটি নলফুটকি
  • সাইক্সের ফুটকি
  • উদয়ী নলফুটকি
  • বৈকাল ঝাড়ফুটকি
  • গুটি ঈগল
  • পাতি সরালী
  • ধলা বালিহাঁস
  • ল্যাঙ্গাহাস
  • গিরিয়াহাঁস
  • মরচেরং
  • ঠেঙ্গী
  • কালাপঙ্খ
  • মেটেমাথা
  • গেওয়ালা বাটান
  • ভূতিহাঁস

উল্লেখ্য, এসব পরিযায়ী বেশিরভাগই বিভিন্ন জাতের সৈকত পাখি।

এছাড়া বিভিন্ন প্রকার দেশীয় প্রজাতির স্থায়ী পাখি তো রয়েছেই।

প্রচুর পরিমানে পরিযায়ী পাখির সমাবেশ হওয়ায়, প্রতিবছর বিলটিতে পাখি শুমারী অনুষ্ঠিত হয় এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত হয়।

জীববৈচিত্রের আতুড়ঘর

যখন শাপলা আর পদ্ম ফুটে; তখন বাইক্কার বিল যেন তার সৌন্দর্যের সবটুকু ঢেলে দেয়। বিলের পানিতে লাল-নীল ফড়িংয়ের ওড়াওড়ি কিংবা বিলের ফুলের উপর দলে দলে আসা পতঙ্গশ্রেনী সে যেন প্রকৃতির অকৃতিম মেলবন্ধনের বহিঃপ্রকাশ।

যেহেতু এটি একট জলাভূমি অভয়াশ্রম, বলাই বাহুল্য যে এখানে মাছ থাকবে। বস্তুত, এই বিলটিতে রয়েছে ৯৮ প্রজাতির মাছের নিরাপদ অভয়াশ্রম যেখানে রয়েছে ১৮ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। 

বিলের শাপলা ফুল
বিলের শাপলা ফুল

এছাড়া মিঠাপানির কচ্ছপ, নীলপদ্মসহ মাখনা, পানিসিঙ্গারা, পদ্মটোনা, শাপলা, শালুক, শামুক, ঝিনুকসহ জলজ জীববৈচিত্রে ভরপুর জলাভূমিটি।

জলের নিচের ডুবন্ত উদ্যানে যেসব উদ্ভিদ রয়েছে তা হলঃ

  • ফক্সনাৎ, ফোকল, মাখনা।
  • ব্লাডারওর্ট
  • লোটাস, পদ্ম
  • সাদাঁ শাপলা
  • লাল শাপলা
  • বেগুনি শাপলা
  • পাকাল ঘাস, ফিতা ঘাস
লেখক বিলের উপরে দাড়িয়ে আছে

কেন আমি এই জায়গাটি পছন্দ করি?

  • প্রকৃতিকে একদম কাছে থেকে অবলোকন করা যায়।
  • বিলের মনোরম পরিবেশে কল্পনার ডানায় ভাসা যায়।
  • ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখিসহ অন্যান্য প্রাণী পর্যবেক্ষন করা যায়।
  • নৌকায় চড়ে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

বাইক্কা বিল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন?

বর্ষার শেষে এবং শীতের শুরুতে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) আপনি বাইক্কা বিলের গেলে সেখানের যে আসল রুপ আছে সেটি আপনি অবলোকন করতে পারবেন।

বাকিটা সময় বিলটি পানির নিচে থাকায় ভ্রমণের উপযোগী থাকেনা।

বাইক্কা বিলের প্রবেশ টিকেট মূল্য কত?

দেশী পর্যটকদের জন্য প্রবেশ টিকেট মূল্য ২০ টাকা।

বন্ধ ও খোলার সময়সূচী

বাইক্কা বিল সকাল ৬ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

বাইক্কা বিল নাকি হাইল হাওড়?

আচ্ছা ভালো একটা প্রশ্ন বটে। আসলেই বাইক্কা বিল নাকি হাইল হাওড়? সেটা নিয়ে অনেক মানুষ প্রশ্ন করেন, দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকেন।

আমি আপনাকে এই প্রশ্নের বেড়াজাল থেকে বের করব! তবে এজন্য হাওর কি এবং হাওর ও বিলের পার্থক্য জানতে হবে আপনাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

হাওর কি?

হাওর হলো গামলা আকৃতির সুবিশাল জলরাশি যা ভূ-আলোড়নের প্রভাবে সৃষ্টি হয়। হাওর সাধারন  বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ব্যপ্ত থাকে। অধিকাংশ হাওর এলাকা-ই বছরের ৭ মাস পানির নিচে থাকে।

বিল কি?

বর্সার শেষে হাওরের গভীর পানিতে নিমজ্জিত কিছু স্থায়ী বিল জেগে উঠে। বিল মিঠা পানির হয়ে থাকে। শুকনা মৌসুমে অবশ্য এগুলোতে কিঞ্চিত পানি থাকে বা থাকেনা বললেই চলে, সেসব সময় এসব স্থানে চাষাবাদ করা হয়।

হাওর ও বিলের পার্থক্য

  • বিল হাওরের গভীর জলের স্থায়ী অঞ্চল। 
  • বিল অবনমিত হয় না অর্থাৎ বিল হাওরের সবচেয়ে গভীরতম অংশ।
  • প্রতিটি হাওর একাধিক বা অসংখ্য বিলের সমষ্টি।

মোদ্দা কথা, বাইক্কা বিল নাকি হাওর?

বাইক্কা বিল, হাওর নয়। এটি হাইল হাওরের অন্তর্গত একটি বিল। কেন? নিশ্চয়ই তা উপরে উল্লিখিত কারণগুলো থেকে ধরতে পেরেছেন!

মূলত হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীর নিরাপদ, সংরক্ষণ, প্রবৃদ্ধি ও বিকাশের লক্ষ্যে এই জলাভূমি অভয়াশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্ষা মৌসুমের হাইল হাওরের জলায়তন হয় প্রায় ১৪, ০০০ হেক্টর, আর শুষ্ক মৌসুমে দাঁড়ায় প্রায় ৪,০০০ হেক্টর

তবে, শ্রীমঙ্গলের স্থানীয়দের অনেকেই একে হাইল হাওর হিসাবে ডেকে থাকে! এতে আপাতদৃষ্টিতে কোনো ভুল নেই কেননা বিল হাওরেরই কন্যা!

বিশেষ নির্দেশনা

অভয়াশ্রম কর্তৃপক্ষের আরোপকৃত গণ-বিজ্ঞপ্তি গুলো হলো: 

  • বিলে পিকনিক করা যাবেনা।
  • উচ্চ শব্দ ও হৈ-হট্টগোল করা যাবেনা।
  • পাখি বা অন্যান্য বন্যপ্রানীদের ঠিল মারা কিংবা অন্য কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবেনা।
  • নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে চলাফেরা করতে হবে।
  • পাখি ও অন্যানা বন্য প্রানী শিকার করা যাবেনা।
  • বিলের ভিতর নৌকা চালানো যাবেনা।
  • কোনো ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়া যাবেনা।
  • বিলের মধ্যে আগুন জ্বালানো যাবেনা। 

নোটঃ দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে নৌকাভ্রমণের শর্তটি প্রযোজ্য হবেনা।

কোথায় থাকবেন?

বাইক্কা বিলের আশেপাশে কোনো হোটেল বা রিসোর্ট নেই। এজন্য আপনাকে শ্রীমঙ্গল শহরে ফিরে আসতে হবে। 

শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য ৫০০ টাকা থেকে বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। শ্রীমঙ্গলের হোটেল ও রিসোর্ট নিয়ে আলাদা করে নিবেদিত একটি আর্টিকেলে বিভিন্ন দাম ও মানের হোটেল সু-বিন্যস্তভাবে উপস্থাপন করেছি। 

আর্টিকেলটি পড়ুন: শ্রীমঙ্গল এর হোটেল ও রিসোর্টের তালিকা

কোথায় খাবেন?

আশেপাশে খাবার হোটেল নেই। তাই, ভারি কিছু চাইলে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারেন। তবে, হালকা খাবারের জন্য বিলটির আশেপাশে বেশকিছু দোকান রয়েছে।

আশেপাশে  দেখার জায়গা: 

ভ্রমণচারী টিপস

  • অবশ্যই শীতকালে যাবেন।
  • শ্রীমঙ্গল শহর থেকে সিএনজি কিংবা চান্দের গাড়ীতে করে গেলে অবশ্যই আপ-ডাউন ভাড়া করে নিবেন।
  • ভ্রমণচারী আপনাকে পুরো শ্রীমঙ্গল ঘুরে দেখার জন্য গাড়ী রিজার্ভ করতে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
  • সূর্যোদয়ের পরবর্তী দুই ঘন্টায় পাখিরা বের হয় এবং ক্লান্ত পাখিরা সন্ধায় ফিরে এসে। এ দুই সময় বিলের পাখি দেখার সুবর্ণ সময়।
  • ফটোগ্রাফীর অভ্যাস থাকলে বিকালের সময় বিলটি দর্শনের জন্য নির্বাচন করতে পারেন। টেলিলেন্স থাকলে সাথে আনতে পারেন। 

ভ্রমণচারীরা ছোট ছোট যেসব প্রশ্ন করে

জলাভূমি কি?

জলাভূমি হলো এমন একটি অবনমিত এলাকা যেখানে পানির স্তর সবসময় স্থলভাগের কাছাকাছি থাকে কিংবা সবঋতুতে স্থায়ীভাবে আদ্র ও ভেজা  থাকে। 

বাংলাদেশে মোট কয়টি হাওর আছে?

বাংলাদেশে সর্বমোট ৪১৪ টি হাওর রয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট হাওর কোনটি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট হাওরের নাম হলো ‘বুরবুক হাওর’।

বাংলাদেশের সব থেকে বড় হাওর কোনটি?

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর হলো ‘হাকালুকি হাওর’।

বাংলাদেশের কোন জেলায় হাওরের সংখ্যা বেশি?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি হাওর রয়েছে ‘সুনামগঞ্জ জেলায়’

শেষের কথা: কম খরচে বাইক্কা বিল যেতে চান?

বাইক্কা বিল যেতে হলে আমি পরামর্শ দিব পুরো শ্রীমঙ্গল ঘুরে দেখাবে একবারে এমন গাড়ি রিজার্ভ করুন। আপনি যদি এই মুহুর্তে বাইক্কা বিলসহ পুরো শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে চান তবে বিশাল খরচ ও পরিকল্পনার ব্যপার হতে পারে।

কেমন হয়, ভ্রমণচারী আপনাকে মাত্র ১৫৯৯ টাকায় পুরো শ্রীমঙ্গল নিয়ে দেখায়? এখনই বুক দিন!

লেখাটির শেষ পর্যায়ে পৌছে গিয়েছি। পুরো লেখায় আমি আপনাকে জানাতে চেয়েছি: 

  • বিলটিতে কি দেখার ও উপভোগ করার আছে?
  • কিভাবে সেখানে যাবেন? 
  • কি খাবেন?
  • কোথায় থাকবেন?
  • কখন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়?
  • বিভিন্ন ব্যবহারিক ভ্রমণ টিপস। 
  • ও শেয়ার করেছি আমার ব্যক্তিগত ও রিভিউ।

পুরো লেখাটি যদি আপনাকে কোনোভাবে উপকার করে থাকে, কমেন্ট করে আপনার ভাবনা জানালে চির-কৃতজ্ঞ থাকব।

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

মন্তব্য করুন