ঢাকেশ্বরী মন্দিরঃ ৮০০ বছরের প্রাচীন দূর্গামন্দির (সতিপীঠ)

ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari Mondir) ঢাকার সবচেয়ে পুরোনো ও গুরূত্বপূর্ন (এ সম্পর্কে পরে বিস্তারিত বলেছি) মন্দির এবং এক ঐতিহাসিক পূন্যস্থান। এটি বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির নামেও পরিচিত। ঢাকেশ্বরী শব্দের শাব্দিক অর্থ দাড়ায় “ঢাকার ঈশ্বরী”। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের ধারনা ঢাকার নামকরন এই মন্দিরের নাম থেকে হয়েছে।

চলুন শুরু করা যাক!

ঢাকেশ্বরী মন্দির কোথায় অবস্থিত?

ঢাকার লালবাগ থানার পলাশী মোড় এলাকায় ঢাকেশ্বরী রোডে ঢাকেশ্বরী মন্দির অবস্থিত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর দক্ষিণে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ হলের দক্ষিণ-পশ্চিমে মন্দিরটির অবস্থান।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নামকরণ

মন্দিরটির নামকরনের নির্ভরযোগ্য কোনো ইতিহাস নেই। তবে, এ নিয়ে বিভিন্ন পৌরানিক কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। কিংবদন্তীগুলো বেশ মজার। কিংবদন্তী অনুযায়ী রাজা আদিসুর তার এক রানীকে বুডিগঙ্গার তীরবর্তী এক জঙ্গলে নির্বাসন দেন। জঙ্গলেই রানী পূত্র প্রসব করে।

বল্লাল সেন নামে ওই পূত্র জঙ্গলেই বেড়ে ওঠে। শৈশবে বল্লাল সেন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় দেবীর একটি বিগ্রহ (মূর্তি) খুজে পান। অন্য একটি মতে, মূর্তিটি শৈশবে নয় বরং তিনি ক্ষমতায় আরোহনের পর খুজে পান।

যাহোক পরে রাজা বল্লাল সেন যে স্থানে মূর্তিটি খুজে পেয়েছিলেন সেখানে একটি দূর্গা মন্দির স্থাপন করেন। ঢাকা অবস্থায় দেবীর মূর্তি পাওয়ার জন্য মন্দিরটির নামকরন করেন ঢাকেশ্বরী (ঢাকা+ ঈশ্বরী)।

একইরকম আরেকটি কিংবদন্তী মতে, রাজা বিজয় সেনের স্ত্রী স্নান করার উদ্দেশ্যে লাঙলবন্দ গিয়েছিলেন ফিরে আসার পথে বল্লাল সেন নামে একটি পূত্র সন্তান জন্ম দেন। পরবর্তীতে বল্লাল সেন ক্ষমতায় আসীন হন।

তিনি জঙ্গলে আচ্ছাদিত দেবতার স্বপ্ন দেখেন এবং সে স্থানে গিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেবীর একটি মূর্তি খুজে পান। বল্লাল সেন পরে ঐ স্থানে একটি মন্দির স্থাপন করেন এবং ঢাকা  অবস্থায় দেবীর মূর্তি পাওয়ার  জন্য মন্দিরটির নামকরন করেন ঢাকেশ্বরী (ঢাকা+ ঈশ্বরী)

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সঠিক ইতিহাস ইতিহাসবিদদের কাছে এখনও রহস্যাবৃত। তবে ধারনা করা হয় ১২শ শতাব্দিতে সেন বংশের ২য় রাজা বল্লাল সেন এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে রাজা বল্লাল যে একজন ‘সেন’ বংশেরই রাজা ছিলেন তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের অনেকেরই যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

এই সংশয় আরও প্রকট হয়ে ওঠে স্থাপত্য-ঐতিহাসিকবিদদের ভাষায়। তাদের মতে, মন্দিরটির স্থাপত্যকলা কোনোক্রমেই মহারাজা বল্লাল সেন কিংবা সেন শাসনামলের সাথে মিলে না।

বরং চুন-বালির মিশ্রনে নির্মিত মন্দিরটির স্থাপত্যরীতি বাংলায় মুসলিম শাসনামলের নির্মানশৈলীর সাথে মিলে যায়।  যেসব ইতিহাসবিদ এই দাবি বিরোধিতা করেন তারা বলেন ধারাবাহিক সংস্কারের কারনে হয়ত মূল নকশা পরিবর্তিত হতে পারে।  এবং এ দাবি যুক্তিসংগত।

আবার এক ইংরেজ লেখক এফ বি ব্রাডলি বার্ট ১৯০৬ সালে তার রোমান্স অব এ্যান ইস্টার্ন ক্যাপিটেল নামক গ্রন্থে ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে ২০০ বছরের পুরনো ও ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি এক হিন্দু এজেন্ট কর্তৃক নির্মিত এক মন্দির বলে উল্লেখ করেছেন।

Dhakeshwori Mondir
১৯৭১ সালে পাক-বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে

উল্লেখ্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরের স্থাপনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং পরে দেশ স্বাধীনের পর মূল নকশানুযায়ী পূনর্নিমিত হয়।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মুর্তি কিন্তু আসল না!

ঐতিহাসিক মতে,  প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে রাজা বল্লাল সেন যে মূর্তি তথা বিগ্রহটি খুজে পান সেটি ভারতবর্ষ বিভাগের সময় মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায়।

পরে জানা যায় যে, ধর্মীয় দাঙ্গা ও মুসলিম শাসন পাকিস্তানে ঢাকেশ্বরী মাতার মুর্তির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে এই ভেবে ১৯৪৮ সালে ঢাকা থেকে গোপনে বিশেষ বিমানে করে কলকাতায় নিয়ে যান রাজেন্দ্রকিশোর তিওয়ারি (মতান্তরে প্রহ্লাদকিশোর তিওয়ারি) এবং হরিহর চক্রবর্তী।

আসল এই বিগ্রহটি  বর্তমানে কলকাতার কুমারটুলি অঞ্চলে দুর্গাচারণ স্ট্রিটের শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতার মন্দিরে রয়েছে।

তাহলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এখন যে ঢাকেশ্বরী মাতার মূর্তি রয়েছে তা আসল না? একদম ঠিক, আসল না, এটি স্রেফ আসল মূর্তিটার নকল প্রতিমুর্তি।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য ও আকর্ষণীয় যা কিছু

ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি দুইটি অংশে বিভক্ত। অংশ দুইটির আবার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। মন্দিরের পূর্ব দিকের অংশটির নাম অন্তর্বাটি আর পশ্চিম অংশটি বহির্বাটি নামে পরিচিত।

প্রধান মন্দিরটি রয়েছে পূর্বদিকে অর্থাৎ অন্তর্বাটি অংশে। এছাড়াও এ অংশটিতে নাটমন্দির ও অন্যান্য ইমারতও রয়েছে। আবার অন্তর্বাটিতে প্রবেশের জন্য একটি তোরণদ্বারও রয়েছে কারন অন্তর্বাটি ও বহির্বাটি একটি প্রাচীর দিয়ে আলাদা করা। এই তোরণদ্বারটির উপর একটি ঘন্টা রয়েছে। প্রধান মন্দিরের ভবনগুলোর অংশগুলো উজ্জ্বল হলুদাভ ও লাল বর্ণের।

ঢাকেশ্বরী মন্দির কিভাবে যাবেন?
Khirul Alam Emon, CC BY-SA 4.0 https://creativecommons.org/licenses/by-sa/4.0, via Wikimedia Commons

এবার আশা যাক পশ্চিম দিকের অর্থাৎ বহির্বাটি অংশটি সম্পর্কে। এ অংশে অন্যান্য কয়েকটি গৌণ মন্দির, একটি লাইব্রেরী ও কতকগুলো ঘর রয়েছে। ঘরগুলো উপাসনার আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন কাজে ব্যাবহৃত হয়। পশ্চিম দিকের অংশ তথা বহির্বটি অংশে আরও রয়েছে একটি প্রাচীন দীঘি, দীঘির কোণে রয়েছে বহু বছরের পুরনো এক বটবৃক্ষ।

দীঘির পাশে আরো রয়েছে বেশ কয়েকটি সমাধী এবং সারিবদ্ধ একই আয়তন ও ধরনের চারটি শিব মন্দির। প্রতিটি শিব মন্দিরে শিব লিঙ্গ রাখা আছে। শিব মন্দিরগুলোর বেদীর ভিত্তিপ্রস্তর থেকে বেশ উচুতে অবস্থিত৭৬ হওয়ায় সিড়ি দিয়ে উঠতে হয়। সিড়িগুলো মার্বেল পাথরে তৈরি।

ঐতিহাসিক এই প্রাচীন মন্দিরে প্রবেশের জন্য বিশাল এক সিংহদ্বার রয়েছে। সেটার বেশ সুন্দর একটা নাম রয়েছে, ‘নবহতখানা তোরণ’। সিংহদ্বার ধরে এগোলেই সোজা বরাবর রয়েছে দূর্গা মাতার প্রতিমা।

বস্তুত মন্দিরে প্রবেশের আরেকটি ফটক রয়েছে। সে ফটকটির প্রবেশ পথের সামনেই আছে ‘নাঠ মন্দির’ আর একটু এগোলেই পুকুর।

আবার মন্দিরের পূর্ব অংশ ‘অন্তর্বাটিতে’ প্রবেশের জন্য আলাদা একটি তোরণদ্বার তো রয়েছেই।

মূল মন্দিরের বাইরে রয়েছে ঢাকা মহানগর পূজা মন্ডপ।

পুকুর

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ এর পুকুর। পুকুরটি মন্দিরটির শোভা বহুগুনে বাড়ায়। প্রাচীন এই পুকুরে ভক্তরা মনের বাসনা পূর্ন করার উদ্দ্যেশ্যে স্নান করে ও ভোগ দেয়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আতুড়ঘর এই পুকুরটির চারিপাড় বাধাই করা।

বাগান

মন্দিরের বাগানটি বেশ যত্ন করে গড়ে তোলা হয়েছে। হরেক রকমের বর্ণাঢ্য ফুলে সাজানো বাগানটি নিঃসন্দেহে ঘুরতে আসা পূন্যার্থী বা ভ্রমণচারীর মনকে পুলকিত করবে।

মেলাঙ্গন

ঢাকেশ্বরী মন্দির
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনের প্রাঙ্গণ যা মেলাঙ্গন হিসাবে ব্যবহৃত হয়

মন্দিরের খালি প্রাঙ্গনটুকু মেলাঙ্গন। বিভিন্ন উৎসবে এটিকে মেলাঙ্গন হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। পূজো উৎসব ছাড়াও বাঙ্গালী সংস্কৃতির নানা উৎসব যেমন পহেলা বৈশাখে এখানে মেলা বসে। মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যে কেউ এখানে স্টল ভাড়া নিতে পারে।

ঢাকেশ্বরী লাইব্রেরী

সনাতন ধর্মের ৫০০ টি বইয়ের সমারোহ নিয়ে ঢাকেশ্বরী দূর্গা মন্দিরে একটি পাঠাগার রয়েছে। তবে পাঠাগারটি  সর্ব-সাধারনের জন্য উন্মুক্ত নয়। প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত এই পাঠাগারটিকে মন্দির কর্তৃপক্ষ মূলত সভাকক্ষ হিসাবে ব্যাবহার করে থাকে।

হিন্দুধর্ম ও ঢাকেশ্বরী মন্দির

dhakeshwari temple

বাংলাদেশে যতগুলো মন্দির রয়েছে তন্মধ্যে গুরুত্বের দিক দিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির অন্যতম। ৮০০ বছরের পুরানো এই মন্দির সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের একটি পবিত্র  স্থান। এটি একটি সতিপীঠ। সতিপীঠ  কি? পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দক্ষযজ্ঞে সতী দেহত্যাগ করলে মহাদেব মৃতদেহ স্কন্ধে করে উন্মত্তবৎ হয়ে নৃত্য করতে থাকেন।

অতঃপর বিষ্ণু সেই দেহ চক্রাকারে ছেদন করে। সতীর মৃতদেহের খন্ডাংশ বিভিন্ন  স্থানে পতিত হয় এবং এই স্থানগুলি দেবীর পীঠস্থান বা শক্তিপীঠ  নামে পরিচিত। স্থানগুলি তাই হিন্দু ধর্মানুসারীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ন।

প্রতি বছর পূজায় শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ৭০-৮০ হাজার পূন্যার্থীর ঢল নামে।

ঢাকেশ্বরী মন্দির কিভাবে যাব?

ঢাকেশ্বরী মন্দির যাওয়া কোনো কঠিন কাজ না। আপনাকে সহজ রাস্তা বলে দেই। প্রথমে আপনার যাতে ইচ্ছা তাতে চড়ে আগে আজিমপুর বাস স্টপেজে আসুন।

কিভাবে আসবেন সেটা আপনার মনের খুশি! তবুও বলে দেই, ঢাকার বেশিরভাগ স্থান থেকে আজিমপুরগামী বাস আছে। তাতে টুক করে চড়ে বসুন। আজিমপুর বাস স্টপেজে আসলে নেমে পড়ুন।

বাস থেকে নেমে একটু দম নিয়ে রিকশা নিয়ে নিন। রিকশা মামা ভাল হলে ১৫ টাকায় মন্দির অব্দি নিয়ে যাবে। এই তো, ব্যাস ঢাকেশ্বরী মন্দির চলে এলেন। ?

আবার আপনি চাইলে শাহবাগ, গুলিস্তান এসব জায়গা থেকেও সরাসরি রিকশা নিয়ে আসতে পারেন। মনের খুশি!

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সাপ্তাহিক প্রার্থনার সময়সূচী

বারপূজার নামসময়সূচী
শুক্রবারমা সন্তোষীর পূজাসকাল ১০ টা
শনিবারশনি পূজাসন্ধ্যা ৬ টা
রবিবারকীর্তন হরী সেবাবিকাল ৫ টা- রাত ৯ টা
সোমবারশিব পূজাসকাল ৭ টা- রাত ৯ টা
মঙ্গলবারদূর্গা মাতার অর্চনাসকাল ৭ টা- রাত ৯ টা
বুধবারদূর্গা মাতার অর্চনাসকাল ৭ টা- রাত ৯ টা
বৃহস্পতিবারদূর্গা মাতার অর্চনাসকাল ৭ টা- রাত ৯ টা
ঢাকেশ্বরী মন্দির সময়সূচী

নোটঃ প্রতিদিন দুপুর বেলা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মধাাহ্নের সময় অনুভোগের আয়োজন করা হয়।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন

ভ্রমণচারীরা সচরাচর যে সব প্রশ্ন করে থাকে

পূজোর উপকরনগুলো কোথা থেকে কিনব?

শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সন্নিকটেই একটি দোকান রয়েছে। সেখান থেকে পূজার যাবতীয় উপকরন কিনতে পারবেন।

যেকোনো কারনে ঢাকেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাই, কিভাবে করব?

শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দির এর  তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র মন্দিরের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় অবস্থিত। শারিরিকভাবে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা মন্দরের সেবায়েতের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। সেবায়েত প্রধান নির্বাহীঃ ফোনঃ ৮৬১৪৯৯৫, মোবাইলঃ ০১৭১১-১৬৯৭২০

উপাসনার সময় আমার জুতা কোথায় রাখব?

দুশ্চিন্তার কারন নেই। জুতা রাখার জায়গা আছে।

আমরা নিজেদের গাড়িতে যাব, কোথায় পার্কিং করব?

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নিজস্ব কোনো পার্কিংয়ের ব্যাবস্থা নেই। তবে প্রধান ফটকের সামনে ও রাস্তায় পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাবেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দির নিয়ন্ত্রন করে কে?

বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি  ঢাকেশ্বরী মন্দির নিয়ন্ত্রন ও রক্ষনাবেক্ষন করে।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি কি ধরনের?

অনেকেরই ভুল ধারনা রয়েছে যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি হলো কালীমন্দির। তবে প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দূর্গামন্দির।

শেষ কথা

আপনি যে ধর্মের অনুসারী হোন না কেন ৮০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দির এ একবার ঘুরে আসা উচিত। সনাতন ধর্মানুসারী ভ্রমণচারীদের বলার কিছু নেই। মহাগুরুত্বপূর্ন এই সতীপীঠে একবার ঘুরে আসা নিশ্চয়ই পুন্যবান হবে।

একটা কথা কিন্তু বলা হয়নি। এত কষ্ট করে লেখা পোস্টটি আপনার কেমন লাগল বা কোনো উপকারে আসল কিনা, কমেন্ট করে জানালে কৃতার্থ থাকব।

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

মন্তব্য করুন