মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: দেশ সেরা সংগ্রহশালা? (ভ্রমণ গাইড)

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর (Muktijuddho jadughor) রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিরত্বগাঁথা ও আত্নত্যাগের জাজ্বল্যমান স্মৃতিকে সংগ্রহ, সংরক্ষন ও প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত দেশের একমাত্র সংগ্রহশালা।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর ইতিহাস ও গৌরবের নিদর্শন বহন করে নিভৃতে দাড়িয়ে থাকা এ জাদুঘরটি যেন বীর বাঙালীর অম্লান প্রতিচ্ছবি।

আজ পুরো লেখায় আপনাকে জানাব-

এক লাফে শুরু করা যাক!

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকার আগারগাঁওয়ে এফ-১১/এ-বি সিভিক সেক্টরে অবস্থিত। পূর্বে এটি ঢাকার সেগুনবাগিচায় ছিল যা ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিলে আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরিত হয়।

শুনতে চান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ইতিহাস?

অনন্য!

হ্যা! সংগ্রহশালাটির যাত্রার পেছনে অনন্য এক ইতিহাস আছে।

সংগ্রহশালাটি শুধু তৈরি করার খাতিরেই নির্মিত হয়নি, পেছনে রয়েছে একমুঠো মানুষের হৃদয় নিংড়ানো আবেগ, যারা কিনা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে প্রতিটা নিঃশ্বাসে অনুভব করে।

শুধু কি তাই?

দেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ সংশালাটিই একমাত্র জাদুঘর যেটা কিনা জনগনের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে নির্মিত।

১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ যখন জাদুঘরে ৮ জন ট্রাস্টি মিলে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে তখন থেকেই জাদুঘরটি নিয়ে সাধারন মানুষের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দেয়। অর্থ, মুল্যবান সংগ্রহ স্বারক থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের সহায়তা ছিল সাড়া জাগানোর মত।

জাদুঘরটির সৃষ্টির পেছনের গল্প নিয়ে প্রথম আলোর সাথে জাদুঘরের ট্রাস্টির মফিদুল হকের এক আবেগঘন সাক্ষাৎকার রয়েছে।

“তখন মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর পেরিয়ে যাচ্ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট অনেকে মারা যাচ্ছিলেন। নিয়মিত মেলামেশার একটা পর্যায়ে আমরা সমমনা কয়েকজন ভেবেছিলাম কোথাও তেমন বড় কিছু সংগ্রহ নেই। জাতির এত বড় অর্জনের চিন্তা-স্মৃতি সংরক্ষিত হওয়া দরকার। সেই সূত্রেই জাদুঘরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সবচেয়ে কঠিন ছিল স্মারক সংগ্রহ করা।

এসব স্মারক ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের কাছেই খুবই আবেগময়। সে কারণে দাতাদের কাছে আস্থা অর্জন করাটা ছিল জরুরি। দৃশ্যমান একটি অবকাঠামো থাকা অনিবার্য মনে হয়েছিল। তাই প্রথমেই বাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। এরপর সারা দেশে জেলায় জেলায় গিয়ে সুধী সমাবেশ করে মানুষের কাছে জাদুঘরের কারণ ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকেও অনেক নিদর্শন সংগৃহীত হয়েছে।“

১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালাটি ঢাকার সেগুনবাগিচার একটি দ্বিতল ভাড়াবাড়িতে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু, শুরু থেকেই জাদুঘরটি স্থান সংকুলানে ভুগছিল।

লাল সবুজ পতাকার সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টির গল্পটা কোনো ১০০ পাতার উপন্যাসের কাহিনী নয়।

প্রতিটি গল্পের পেছনে রয়েছে হাজারটা স্মৃতি। স্মৃতিগুলোর রেখে গেছে তার চিহ্ন। মুক্তিযুদ্ধের খুজে পাওয়া হাজারও স্মৃতিচিহ্ন-স্বারকগুলো সংরক্ষন করে রাখার জন্য তাই প্রয়োজন বিশাল এক সংগ্রাহাগার।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে জদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে ০.৮২ একর জমি বরাদ্দ দেয়। যেখানে পরবর্তিতে ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর নয়তলা সম্পন্ন আধুনিক এক ভবন নির্মিত হয়।

নকশা তৈরির জন্য ট্রাস্টি বোর্ড উন্মুক্ত নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, যেখানে দেশের সাধারন মানুষ নকশা জমা দেয়। উল্লেখ্য, দেশেরই এক গুনী স্থপতির নকশা শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের যাচাই বাছাইয়ে বিজয়ী হয়।

২০১১ সালে নির্মান কাজ শুরু হয় এবং নির্মান কাজ শেষে ২০১৭ সালে ১৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালাটি তার আপন ঠিকানায় ৯ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবনে যাত্রা শুরু করে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্দর-বাহির

প্রায় ১ একর জায়গার উপর নির্মিত জাদুঘরটির ৭ তলা বিশিষ্ট বিশাল কমপ্লেক্সের গ্যালারিতে রয়েছে ১৭ হাজারের উপরে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রহস্মারক।

জাদুঘরটির সংগ্রহস্বারকের প্রাচুর্যতা তো বটেই সাথে সাথে এর নান্দনিক নির্মানশৈলী প্রতিটা দর্শনার্থীকে অভিভূত করে। ৭ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সে রয়েছে ৪ টি গ্যালারি। আমেরিকার মিউজিয়াম বিশেষজ্ঞ এক কোম্পানি জাদুঘরটির গ্যালারিতে নিদর্শন উপস্থাপনের দায়িত্বে রয়েছে। ৪ টি গ্যালারি রয়েছে জাদুঘর কমপ্লেক্সের ৪র্থ ও ৫ম তলায়।

উল্লেখ্য, জাদুঘরটির ৩ তলা মাটির নিচে এবং বাকি ৪ তলা দৃশ্যমান। ৪র্থ ও ৫ম তলার গ্যালারি ছাড়া বাকী তলাগুলোতে জাদঘরের গবেষনাগার, অফিস মিলনায়তন, পাঠাগার, প্রদর্শনী কক্ষ, আর্কাইভ ও শিখা অনির্বাণ রয়েছে।

কালো মার্বেল পাথরে পানির ভেতর থেকে প্রজ্বলিত শিখা অম্লানটি দেখা যাবে জাদুঘরের ১ম তলায়। শিখা অম্লানটি উদ্বোধনের আগে সেগুনবাগিচার পুরোনো ভবন থেকে জাদুঘরের নিজস্ব ভবনে নিয়ে আসে মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের ৭১ জন মানুষ।

এবার আসা যাক জাদুঘরের প্রধান আকর্ষণ এর গ্যালারি সম্পর্কে।

জাদুঘরের ৪ টি গ্যালারির ১ম গ্যালারিতে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কাল পূর্ব এ জনপদের প্রত্ননিধিত্বমূলক প্রত্নতত্বনিদর্শন রয়েছে। গ্যালারিটির নাম ‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’৷

২য় গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। রয়েছে ১৭ ই এপ্রিলে মেহেরপুরে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার গঠন পর্যন্ত নানা প্রদর্শনী। গ্যালারিটির অবস্থান জাদুঘরের ৩য় তলায়।

এ গ্যালারিতে আরও রয়েছে স্বাধীনতার ঘোষনা, সারাদেশে গণহত্যা, বাঙালির তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ যুদ্ধ যেমন ৪ এপ্রিল কুষ্টিয়ার যুদ্ধ, উদ্বাস্তু বাঙালিদের শরনার্থী হয়ে ভারত গমন এবং সেখানে জীবন যাপনের চিত্র। শুধু তাই ই নয়, এ গ্যালারিতে আরও রয়েছে শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণে একটি বিশেষ প্রদর্শনী দেখানো ব্যাবস্থা।

প্রদর্শনীতে দেখানো হয় ২৫ মার্চের কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম বর্বরতার প্রতিচিত্র এবং তাদের পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট।

জাদুঘরের ৪র্থ তলায় অবস্থিত “আমাদের যুদ্ধ আমাদের মিত্র” শীর্ষক গ্যালারিতে দেখা যাবে পন্ডিত রবিশঙ্করের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” এ বিখ্যাত শিল্পি জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানের আসল পান্ডুলিপি ও সুরের নোটেশন।

৪র্থ ও জাদুঘরটির সর্বশেষ গ্যালারিতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালির প্রতিরোধ ও সংগ্রামের বিভিন্ন নিদর্শন। চতুর্থ গ্যালারিটির নাম ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’৷ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়ে বীর বাঙালির সম্মুখযুদ্ধ, ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন, নিরীহ মানুষের দূরাবস্থা, যৌথ বাহিনীর অভিযান, দেশের বিভিন্ন অংশ বিজয়, ডিসেম্বর পরাজয়ের পূর্বে দেশীয় বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং ঢাকায় পাকিস্তানি নিকৃষ্ট বাহিনীর আত্নসমর্পনসহ নানা ঘটনাবলি নিয়ে সাজানো এই গ্যালারিটি।

উল্লেখ্য, সংগ্রহশালাটিতে সংগৃহীত ১৭ হাজারেরও অধিক নিদর্শন জাদুঘরের গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়না। গুরুত্ব ও তাৎপর্যভেদে এবং সংরক্ষন ও গবেষনার প্রয়োজনে বাকি নিদর্শনগুলোকে জাদুঘরের আর্কাইভে সংরক্ষন করে রাখা হয়।

জাদুঘরের প্রথম তলার দুইপাশে ছাদের সঙ্গে আটকানো রয়েছে একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার৷ একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল এগুলো।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে কিভাবে যাব?

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যেতে হলে আপনাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে আসতে হবে। ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে সহজেই বাস, লেগুনা বা অন্যান্য বাহনে করে চলে আসতে পারবেন। আগারগাঁওয়ে এসে সিভিক সেক্টরের ১১ নাম্বার প্লটে যেতে হবে। ব্যস, চলে এলেন!

কথা প্রসঙ্গে, আপনি কি জানেন থেকে স্বল্প দুরত্বেই রয়েছে সামরিক জাদুঘর?

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রবেশ টিকিট মূল্য কত?

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে জনপ্রতি প্রবেশ ফি ২০ টাকা। ৫ বছর পর্যন্ত ফ্রি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সময়সূচী

সপ্তাহের প্রতি রবিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকালে জাদুঘরটি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর শীতকালে (অক্টোবর-ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্দ্যেশ্য কি বা এর কর্মকান্ড কিভাবে পরিচালিত হয়?

প্রতিষ্ঠার সময়কাল থেকেই শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এক মহান লক্ষ্যে ব্রত হয়ে তাদের কর্মকান্ড শুরু করে। যদিও এ জাদুঘরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বারক সংগ্রহ ও উপস্থাপন।

এগুলোর পাশাপাশি সংগ্রহশালাটির বেশ কিছু বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে।

এগুলো হল-

  • নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বাঙালির বিরত্বগাঁথা জানানো।
  • এবং এর মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা।

স্বভাবতই প্রশ্ন এসে যায়, কিভাবে?

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর (Bangladesh Muktijuddho Jadughor) এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে।

বিভিন্ন কর্মসূচিগুলো যেমন আউটরিচ কর্মসূচী, ভ্রাম্যমান জাদুঘর কর্মসূচী, মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র, গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন, মুক্তিযুদ্ধ সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতি পদক, মুক্তির উৎসব, শান্তি ও সহনশীলতা বিষয়ক এশীয় তরুণদের ক্যাম্প ইত্যাদি আয়োজন করে থাকে। 

এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসব বেশ আড়ম্বরের সাথে আয়োজন করে থাকে।

আচ্ছা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অর্থায়ন হয় কিভাবে? ?

শুরু থেকেই জাদুঘরটির প্রতিটা কর্মসূচিতে জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যাপক অবদান রেখেছে। স্বারক সংগ্রহ থেকে শুরু করে আর্থিক অনুদানসহ প্রতিটা ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহন, আগ্রহ ও অবদান সাড়া জাগানোর মতো। তাই অনেকে এই জাদুঘরটিকে ‘জনগণের জাদুঘর’ নামেও অভিহিত করেন।

অবশ্য, ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান অব্দি পর্যন্ত জাদুঘরটিকে বাংলাদেশ সরকার বার্ষিক অনুদান দিয়ে আসছে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে দেশপ্রেমী বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাদুঘরটি নির্মানে ব্যাপক অর্থ সহায়তা করেছে।


মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তাৎপর্যঃ কেন যাব এই সংগ্রহশালায়?

যাদের মনে এই প্রশ্ন আসবে তার উত্তরে বেহুদা জটিল না করে বলব আপনার দেশপ্রেমে দূর্বলতা রয়েছে নয়তো দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝেন না।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দেশের একমাত্র জাদুঘর যেটি সম্পূর্ন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, অর্জন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বাঙালীর বিরত্বকে তুলে ধরে।

যাদের এসব ব্যাপার মনে ধরে না তাদের জন্য বলব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের একমাত্র জাদুঘর যেটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের ডিজাইনে নির্মিত। এত কিছু সত্তেও সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো জাদুঘরটি তাৎপর্যপূর্ন কোনো সরকারি সহায়তা ছাড়াই জনগণের প্রত্যক্ষ সহায়তায় নির্মিত।

উল্লেখ্য, জাদুঘরটি আন্তর্জাতিক জাদুঘর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সাইট্স্ অব কনসান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। একইসাথে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব মিউজিয়ামের সদস্য। এবং জাদুঘরটির গ্যালারি পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাদুঘর পরিচালনা বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ একটি সংস্থা দ্বারা।

ভ্রমণচারীরা আরও যা যা জিজ্ঞেস করে

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কখন খোলা থাকে?

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গ্রীষ্মকালে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এবং শীতকালে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কি খোলা?

জি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এখন খোলা। দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকার পর ১৯ আগস্ট্‌ ২০২১ এ জাদুঘরটি খুলে দেওয়া হয়।


আপনার উদ্দেশ্যে

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দেশের গৌরবোজ্জ্বল ও মহান মুক্তি সংগ্রামের আত্নগাঁথা তুলে ধরে। ইহার সৃষ্টির পেছনে আছে বিশাল এক উদ্দেশ্যে। অতএব, জাদুঘরটিতে আপনার পূন্যচারন করে সেই মহান উদ্দেশ্যে নিজেকে ব্রতী করে আসা কর্তব্য।

লেখাটি আপনাকে যদি অনুপ্রানিত করে থাকে তাহলে কমেন্ট করে সে অনুভূতি জানিয়ে যাবেন। যা আমাকে আরও লিখতে উৎসাহ দিবে ?।

আর হ্যা, ১০,০০ পর্যটকের সাথে আপনিও ভ্রমণচারীর ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

ভ্রমণচারী আপনাকে পছন্দ করে, আর আমি আপনাকে ভালবাসি ?

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

“মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: দেশ সেরা সংগ্রহশালা? (ভ্রমণ গাইড)”-এ 1-টি মন্তব্য

  1. মক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সম্পর্কে জানতে এখনকার দিনে কোন মোবাইল নাম্বার সরাসরি থাকা উচিত । টেলিফোন নম্বর গুলো কল পেতে খুবই ঝামেলা দেখলাম । কেউকি সরাসরি তথ্য জানার কোন অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বার দিতে পারবেন ?
    মোসতাকিম স্বাধীন , গণমাধ্যম গবেষক 01711152483

    জবাব

মন্তব্য করুন