বাহাদুর শাহ পার্কঃ বাঙ্গালী সত্বার আরেকটি নাম

ভিক্টোরিয়া পার্ক

“বাহাদুর শাহ পার্ক” (Bahadur shah park) এর নাম ইংরেজ আমলে ছিল ভিক্টোরিয়া পার্ক। বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি এখনো ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক দিক বিবেচনায় পার্কটি ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ এই পার্ক ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত। ইংরেজদের পৈশাচিক নির্যাতন জ্বলন্ত সাক্ষী হিসাবে পার্কটি আজও তার স্বীয় অবস্থান জানান দিচ্ছে।  একই সাথে পার্কটি বাংলার সিপাহী বিদ্রোহের প্রমাণ এবং সিপাহীদের আত্মত্যাগের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাহাদুর শাহ পার্কটি ঐতিহাসিক এই কারনে বিখ্যাত।

চলুন শুরু করা যাক!

বাহাদুর শাহ পার্কের ইতিহাস ও নামকরন

অষ্টাদশ শতাব্দীর  দিকে এখানে আর্মেনিয়ানরা বসবাস করত।  তখন তারা পার্কটির এই স্থানে বিলিয়ার্ড খেলত, স্থানীয় ভাষায় তখন সেটা “আন্টা খেলা” (বিলিয়ার্ড বলের বাংলা) নামে পরিচিত ছিল। স্থানীয়রা তাই এটিকে আন্টাঘর বলে ডাকত। আন্টাঘরের আশেপাশে কিছু ফাকা  ময়দান ছিল। উনিশ শতকের প্রথম দিকে ময়দানটি ইংরেজরা কিনে নেয় এবং কিঞ্চিৎ সৌন্দর্যবর্ধন করে পার্কে রূপ দেয়।  কিন্তু ক্রমশ এই স্থানটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।

এমতাবস্থায় নওয়াব আবদুল গনি ১৮৪০ সালের দিকে এটিকে ভেঙে দিয়ে পুনরায় আবার ময়দার মতো তৈরি করে। ফাঁকা ময়দানে ব্যাডমিন্টন বিলিয়ার্ড টেনিস খেলত। তারা সেখানে একটি ক্লাব গঠন করেন এবং ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নবাব আব্দুল গনি ও নবাব আহসানুল্লাহ। জানা যায় ইংরেজরা ক্লাবটিতে খেলাধুলার পাশাপাশি মাঝে মাঝে  আড্ডা দিত এবং পার্টি আয়োজন করে আমেজ করতো।

১৮৫৭ সালে ক্লাবটি এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব পায়। এই সময়ের দিকে বাংলায় বেশ কয়েকজন নবাব সুবেদার অনেক প্রভাবশালী ছিল। তাই তারা তখনো স্বায়ত্তশাসন চালিয়ে যেতে থাকে। এরই মাঝে তখন সমগ্র ভারতবর্ষজুড়ে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইংরেজরা লালবাগ কেল্লায় আক্রমণ করেন এবং দুর্গটি দখল করে  সিপাহীদের নিরস্ত্র করতে চাই।  কিন্তু তখন  বাদ সাধে  কেল্লার দেশীয় সৈনিকদের পাল্টা আক্রমণ। কেল্লার  সিপাহীরা তাদের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যায়।

 কিন্তু, অবশেষে ইংরেজরা দুর্গটি দখল করে ফেলে এবং জীবিত সৈন্যদের আটক করে। সংক্ষিপ্ত বিচার কোর্টমার্শালের নাটক করে ইংরেজরা আটককৃত  সৈন্যদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।  জনসম্মুখে তীব্র ভীতি সঞ্চারের জন্য আটককৃত ১১ জন  সিপাহি কে আন্টাঘর ময়দানে পাম গাছে  জনসম্মুখে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়  এবং  অনেকদিন ধরে মৃত সৈন্যদের নিথর দেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।উল্লেখ্য সিপাহিদের ভিতর একজন  নারী ছিল।  পরবর্তীতে ইংরেজরা এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে।

ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া ১৮৫৮ সালে যখন  ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করেন, তখন ঢাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এই ময়দা নেই ঘোষণাপত্রটি পড়ে শোনান। সেই থেকেই ময়দানকে সবাই রানীর এই কারনে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে ডাকতে থাকে। পরবর্তীতে নওয়াব আব্দুল গনি ব্যক্তিগতভাবে ক্লাবটির অনেক উন্নয়ন করেন। 

মূলত তারই একান্ত প্রচেষ্টায় আন্টাঘর ময়দানটি  পার্কে রূপ লাভ করে। নবাব আব্দুল গনির নাতি হাজা হাফিজুল্লাহ মারা গেলে, তিনি ও তার ইংরেজি বন্ধুরা মিলে ১৮৮৪ সালের দিকে একটি স্মৃতিফলক তৈরি করেন। সাজা হাফিজুল্লাহ ছিলেন নবাব আহসান উল্লাহ জ্যেষ্ঠপুত্র। ১৮৮৫ সালে নবাব আব্দুল গনি তার ইংরেজি বন্ধুরা মিলে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেন।

সিপাহী বিদ্রোহের শত বছর পূর্তিতে ‘ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ (ডিআইটি)  এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে।  যেহেতু সিপাহী বিদ্রোহের  মাধ্যমে  ইংরেজ শাসনের পতন ঘটিয়ে  মোগল দ্বিতীয় সম্রাট বাহাদুর শাহের শাসন কায়েম করার চেষ্টা করা হয় তাই পার্কটির নাম পরিবর্তন করে “ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্ক “ নামকরণ করা হয়।

সিপাহী বিদ্রোহ ও বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক)

চলুন একদম গোড়া থেকে আসা যাক।

সিপাহী বিদ্রোহ। উপমহাদেশে ইংরেজদের বিরূদ্ধে সংগঠিত কোনো প্রথম মহাবিদ্রোহ। এ বিদ্রোহ উপমহাদেশে ইংরেজ ঔপনিবেশকের ভিত কাপিয়ে দেয়। এ বিদ্রোহের ব্যাপকতা এতই প্রচন্ড ছিল যে একে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন হিসাবেও অভিহিত করা হয়।

সিপাহী বিদ্রোহের কারন

সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠন কোনো একক ঘটনার ফল নয়। বরং ইংরেজ ঔপনিবেশিকতার অপশাসনের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠা বিশাল এক ক্ষোভের উদগীরন।

বহুকাল ধরে ইংরেজদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে এদেশীয় সিপাহীদের বৈষম্য করতে থাকে। ক্রমে সিপাহীদের মনে ক্ষোভের দানা বেধে ঘণীভূত হতে থাকে। যার তুমুল বিস্ফোরন ঘটে ১৮৫৭ সালের সিপাহী মহাবিদ্রোহের মাধ্যমে।

সিপাহী বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারনটি ছিল ধর্মীয়। ইংরেজ সামরিক বাহিনীতে তখন এনফিল্ড রাইফেল (Enfielld Rifle) যুক্ত হয়। বিতর্কিত এই রাইফেলে কার্তুজের যে খোলসটি কেটে লোড করতে হতো, সেই খোলসে গরু ও শুকরের চর্বি মেশানো আছে এমন গুজব রটে যায়। এই বদ্ধমূল ধারনাটি সিপাহীদের জমে থাকা ক্ষোভের আগুনে যেন ভেজা তুষের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। দাবানলের মতো গোটা ভারতে এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে।

সিপাহী বিদ্রোহ ও পূর্ব বাংলা

সিপাহী বিদ্রোহ দমনে কোম্পানী সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পূর্ব বাংলায়। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, বৃহত্তর যশোর অঞ্চলে মারাত্নক এক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয় ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বিশেষ করে ঢাকায় দেশীয় সিপাহীরা চরম সাহসীকতা ও বীরত্ন দেখায়। লালবাগ দূর্গের দখল নিয়ে সিপাহীরা ঢাকায় শক্ত অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত চট্রগ্রাম থেকে এক রেজিমেন্ট কোম্পানীর মেরিন সেনা এসে কোনোরকমে সিপাহীদের নিরস্ত্র করতে সক্ষম হয়। এতে সহায়তা করে এদেশীয় সুবিধাবাদী কিছু জমিদার ও জোতদ্বার। খুশি হয়ে পরে ইংরেজরা যাদের নওয়াব, সুবেদার ইত্যাদি উপাধীতে ভূষিত করে। মারাত্নকভাবে পর্যুদস্ত কোম্পানী সৈন্যদেরকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলায় উদীয়মান সফল বিদ্রোহের সূর্য স্তিমিত হয়ে যায়।ঢাকার আটককৃত ও আত্নসমর্পনকারী বিপ্লবী সিপাহীদেরা তখনকার “আন্টাঘর ময়দানে” প্রকাশ্যে ফাসিতে ঝুলানো হয়।

সিপাহী বিদ্রোহ ও বাংলা

বিশাল এই মহাবিপ্লবের সূচনা হয় বাংলা থেকে। তৎকালীন বাংলার হুগলী জেলায় সিপাহী মঙ্গল পান্ডের বিদ্রোহের মাধ্য়মে এ বিপ্লবের উত্থান হয়। কোম্পানির সৈন্য ও অফিসারদের বিরুদ্ধে বাংলার সিপাহীদের বিদ্রোহের সংবাদ দ্রুতই ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সমগ্র ভারতের সিপাহীরা যেন এ সংবাদে ফুসে ওঠে এবং সর্বাত্নকভাবে বিদ্রোহ আরম্ভ করে।

বাহাদুর শাহ পার্কের ছবি ও বিবরন

পার্কটি ঘিরে সাতরাস্তা তৈরি হয়েছে এবং এই সাতরাস্তার কেন্দ্রবিন্দুতে একটুকরো জায়গায় বাহাদুর শাহ পার্ক (bahadur shah park) অবস্থান করছে। সদরঘাটের লক্ষ্মীবাজার এলাকায় জনসন রোডে অবস্থিত এই পার্কটি আশেপাশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ  প্রতিষ্ঠান  রয়েছে।  পার্কটির ঠিক বিপরীত পাশেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও পার্কটির বিভিন্ন পাশে রয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন সরকারি কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ,  ইসলামিয়া হাই স্কুল,  চার্চ,  জজ কোর্ট, সরকারি মুসলিম স্কুল  ইত্যাদি। এছাড়াও ঠিক পূর্বপাশে রয়েছে ঢাকার পানি সরবরাহের জন্য স্থাপিত প্রথম ট্যাংকটি।

বাহাদুর শাহ পার্ক দেখতে অনেকটা ডিম্বাকার। পার্কটির চারপাশ লোহার রেলিং দ্বারা ঘেরা।

হুমম পার্কের ভেতরে কি আছে? অনেক কৌতুহল?

bahadur shah park

ঢাকার নবাব আব্দুল গনির নাতি খাজা হাফিজুল্লাহ স্মরণে নির্মিত খাজা হাফিজুল্লাহ স্মৃতিফলক। স্মৃতিফলক টি গ্রানাইট পাথরের তৈরি। কথিত আছে নবাব আব্দুল গনি এই গ্রানাইট পাথর  দিল্লি থেকে নিয়ে আসেন।

বাহাদুর শাহ পার্ক কেন বিখ্যাত

সিপাহী বিপ্লবের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতিসৌধের তাৎপর্য  ব্যাপক।স্মৃতিসৌধের চারটি  স্তম্ভ ও গম্বুজের  ন্যায়  ডোম  ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের এবং রানী ভিক্টোরিয়ার ভারতবর্ষের সিংহাসন আরোহন করা কে তুলে ধরে।

এছাড়াও পার্কটিতে আরও যা যা রয়েছে…

  • ঠিক মাঝখানে একটি সুন্দর পানির ফোয়ারা।
  • পার্কটির অন্য আরেকটি পাশে  সজ্জিত চারটি স্তম্ভের উপর সমতল  গম্বুজ রয়েছে।
  • একসময় বাহাদুর শাহ পার্কে প্রচুর পামগাছ থাকলেও, সিপাহী বিদ্রোহের সেই দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলতে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে অল্প সংখ্যক পাম গাছসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রকার গাছ রয়েছে।
বাহাদুর শাহ পার্ক কিভাবে যাব
পার্কের প্রধান ফটকের বাইরে থেকে তোলা [পাম গাছ দেখতে পান?]

বাহাদুর শাহ পার্ক কেন যাবেন?

সিপাহী বিদ্রোহের ঐতিহাসিক সেই স্মৃতির সাক্ষী হতে অবশ্যই আপনাকে একবার হলেও  বাহাদুর শাহ পার্কে যাওয়া উচিত।  এখানে গেলে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন ইংরেজ শাসনামলে সেই ভয়াবহ অপশাসন,নির্যাতন-নিপীড়ন  এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বাংলা বিপ্লবী সিপাহীদের  গৌরব গাঁথা।  এর মাধ্যমে একজন বাংলাদেশী হিসাবে আপনার সত্তা এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে। তখন একবার হলেও মনে হবে বাঙালি বীরের জাতি,  যেকোনো অত্যাচার এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দ্বিধাবোধ করে না।

পার্কটিতে স্থাপিত স্মৃতিসৌধের এবং খাজা  হাফিজুল্লাহ স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকের  স্থাপত্যশৈলী নজর কাড়ার মতো।  ঢাকার নবাবদের বিখ্যাত স্থাপত্য-শৈলীর আরো একটি চমৎকার নিদর্শন দেখতে হলে তাই আপনাকে যেতে হবে বাহাদুর শাহ পার্কে।

বাহাদুর শাহ পার্ক কেন বিখ্যাত?

উপমহাদেশে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগঠিত সিপাহী বিদ্রোহে বাঙ্গালী সিপাহীরা সারা বাংলায় ইংরেজদের ভীত কাপিয়ে দেয়। পুরো ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিদ্রোহে বাংলায় ইংরেজদের ত্রাসের কারন হয়ে দাড়ায়। বাংলায় দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া বিদ্রোহের অনলে ইংরেজরা বাংলা থেকে বিতাড়িত হওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত এদেশীয় সুবিধাবাদী জমিদারদের সাহায্যে ইংরেজরা সিপাহীদের পরাজিত ও বন্দি করতে সক্ষম হয়। ঢাকা ও আশপাশ অঞ্চলের আটককৃত বন্দি বিদ্রোহীদের আন্টাঘর ময়দানে ফাসি দেওয়া হয়।

সেই থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক) ইংরেজ বেনিয়াদের বর্বরতার স্মৃতি বহন করে চলেছে। তবে বাঙালী সেই স্মৃতি মনে রাখতে চায়না। বরং বাহাদুর শাহ পার্ককে বাঙ্গালী বীর সিপাহীদের বীরত্বের প্রতিক হিসাবে ধরা হয়। বাঙ্গালী জাতী কখনই মাথা নোয়াবার নয় তা প্রমান করে এই বিদ্রোহে বাঙ্গালী সিপাহীদের অসামান্য বিরত্বগাঁথা। এই বিদ্রোহে বাঙ্গালী সিপাহীদের তাৎপর্যপূর্ন সাফল্য ও বিরত্বের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে বাহাদুর শাহ পার্ক বিখ্যাত।

বাহাদুর শাহ পার্কে কিভাবে যাবেন?

আপনি যদি ঢাকার বাইরে  থাকেন তবে প্রথমে আপনাকে ঢাকায় আসতে হবে।  এরপর  আপনাকে সদরঘাটে যেতে হবে। সদরঘাটে যাওয়ার জন্য ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনি বাস পাবেন। সদরঘাটগামী বাসে করে যাওয়ার সময় আপনাকে ঠিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নামতে হবে। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক বিপরীত পাশেই বাহাদুর শাহ পার্ক চোখে পড়বে।

ভিক্টোরিয়া পার্কে গেলে একইসাথে এইসব জায়গায় ও যেতে পারেন

শেষ ভাবনা

বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক) বাঙ্গালী তথা পুরো উপমহাদেশের জন্য সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতি বহন করে চলছে। এই পার্ক এখনও সারা উপমহাদেশের কাছে বাঙ্গালী শৌর্য, বীর্য, অনমনীয়তা, সাহসীকতা, তেজস্বীকতা ও ইংরেজ বিতাড়ন আন্দোলনে বাঙ্গালীর আত্নত্যাগের বার্তা পৌছে দেয়।

এখন আপনাকে বলছি, কখনও বাহাদুর শাহ গিয়েছেন? যদি না যেয়ে থাকেন তবে একজন বাঙ্গালী হিসাবে বাঙ্গালীর স্বত্বা ও স্বরুপের আরেকটুখানি গভীরে পৌছাতে হলে নিজ চোখেদ সেই ‘আন্টাঘর’ ময়দানকে দেখে আসতে হবে।

আর যদি ইতিমধ্যে আপনি গিয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট কমেন্ট করে আপনার ভাবনাগুলি সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন।

ভ্রমণচারীদের বার বার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ

ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্তমান নাম কি?

বাহাদুর শাহ পার্ক।

ভিক্টোরিয়া পার্ক কোথায়?

ভিক্টোরিয়া পার্ক নামটি পূর্বের। বর্তমানে যার নাম বাহাদুর শাহ পার্ক। এটি পুরানো ঢাকার সদরঘাটে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত।

বাহাদুর শাহ পার্ক কে নির্মান করেন?

নওয়াব আব্দুল গণি। আন্টাঘর ময়দানকে তিনিই পার্কে রূপান্তর করেন।

ভিক্টোরিয়া পার্কের অপর নাম কি?

বাহাদুর শাহ পার্ক।

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

মন্তব্য করুন