আহসান মঞ্জিল কিভাবে যাবেন কি দেখবেন? (ইতিহাস ও ভ্রমণ গাইডসহ)

আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil) ঢাকা শহরের দক্ষিণে ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি “গোলাপি প্রাসাদ” নামেও পরিচিত। আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil) বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন। এটি ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ ছিল।

২৩ টি গ্যালারী নিয়ে ১৯৯২ সালে দর্শনীয় স্থানটি পুন:সংস্কারের মাধ্যমে জাদুঘরে (আহসান মঞ্জিল জাদুঘর) রুপান্তর করে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

ঢাকায় পড়াশুনা এবং বসবাসের সুবাদে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।

তাই আমার অভিজ্ঞতা ও সংগৃহিত তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো পুরো লেখাটি জুড়ে থাকছেঃ

চলুন শুরু করা যাক!

নির্মাণ ইতিহাস ও আহসান মঞ্জিলের নামকরণ

অষ্টবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি (১৭২০ সালে) সময়ে জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ “রংমহল” নামে একটি হেরেম বা প্রমোদভবন তৈরি করেন। শেখ এনায়েতউল্লাহ ছিলেন জামালপুর পরগনার (বর্তমানে ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার। পরবর্তিতে তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহ রংমহলতির কত্রিত্ব অর্জন করেন এবং পরে ফরাসি বণিকদের কাছে রংমহলটি বিক্রি করে দেন।

ফরাসিরা সেখানে বনিজ্য কুঠি স্থাপন করে। ফরাসিরা কিছুদিন বাণিজ্যিক কুঠি পরিচালনা করে বাগান বাড়িটি বিক্রি করে দেয়। ১৮৩০ সালে ফরাসিরা এটি ঢাকার প্রভাবশালী নবাব আব্দুল গনির পিতা খাজা নাজিমুল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেন। এরপরে নবাব আব্দুল গণি “রংমহল” কে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেন। তিনি “মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী” নামক একটি ইউরপিয়ান আর্কিটেকচারাল-ডিজাইন কোম্পানিকে “আহসান মঞ্জিল” (Ahsan Manzil) এর মাস্টারপ্লান  তৈরির দায়িত্ব দেন।

মাস্টারপ্লান হাতে পাওয়ার পরে নবাব আব্দুল গণি ১৮৫৯ সালে নির্মাণ মহাযজ্ঞ শুরু করেন। ১৮৭২ সালে প্রাসাদটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। নবাব আব্দুল গণি তার পুত্র নবাব খাজা আহসানউল্লাহর নামে প্রসাদটির নামকরণ করেন “আহসান মঞ্জিল” হিসাবে। ১৮৮৮ সালের ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রকৌশলী গবিন্দ চন্দ্র রায় এর তত্বাবধানে প্রসাদটি মেরামত করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, মেরামতকল্পে রানীগঞ্জ থেকে ইট আনা হয়। ১৮৯৭ সালে পুনরায় ভূমিকম্পের আঘাতে আহসান মঞ্জিল আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নবাব আহসানউল্লাহ তা আবার পুনর্নির্মাণ করেন।


আহসান মঞ্জিল ও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব

উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত এই প্রাসাদটি বাংলার একটি প্রধান রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। উনিশ শতক ও উনিশ শতকোত্তর কালে নবাব পরিবার ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিক পালন করে। ভারতবর্ষের মুসলিম আন্দলনের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঠিক এই প্রাসাদ থেকেই নেয়া হত।

তারই ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠিত হয় “সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ”। আহসান মঞ্জিল ছিল প্রাচীন ঢাকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও জাকজমাটপূর্ণ স্থাপনা এবং পুরো শহরের প্রতিনিধিত্বকারী কেন্দ্রবিন্দু। এই প্রাসাদে নানা গুরুত্বপূর্ণ বাক্তিত্ব অতিথি হিসাবে বেড়াতে এসেছেন। ১৯০৪ সালে লর্ড কার্জন এবং তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল এই প্রাসাদে বসেই পূর্ববাংলার রাজধানী হিসাবে ঢাকাকে সম্ভাবনীয় বলে উল্লেখ করেন।

আহসান মঞ্জিলের নির্মাণশৈলী

প্রাসাদটির ছাদের উপরের গম্বুজ এবং সুবিশাল চওড়া শিড়ি আহসান মঞ্জিলকে পরিনত করেছে অনন্য এক স্থাপত্যশিল্পে। একটা সময় ছিল যখন প্রাসাদটির গম্বুজের চুড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সবচেয়ে উচু চূড়া।

আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম আকর্ষণের আরেকটি জায়গা হলো এর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের দুইটি মনোরম খিলান। তিনতোরণ বিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও চোখ ধাধানোর মত সুন্দর। প্রসাদটির বারান্দা ও কক্ষগুলোর মেঝে মার্বেল পাথর দ্বারা শোভিত।

আহসান মঞ্জিলের স্থাপত্য দুইটি প্রধান অংশে বিভক্ত। এটি পূর্ব ও পশ্চিম অংশ নামে পরিচিত। পূর্ব অংশে পাঠাগার ও বৈঠকখানা অবস্থিত। আর পশ্চিম অংশে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ অবস্থিত। পুরো ভবনটি দুইতলা।

নিচতলায় দরবার কক্ষ ও ভোজনকক্ষ রয়েছে। প্রাসাদের উত্তর ও দক্ষিন দিকের বারান্দায় গাড়িখানা রয়েছে। এ বারান্দার উপর দিয়ে দোতলা থেকে একটি সুপ্রশস্ত খোলা সিড়ি বুড়িগঙ্গা  নদীর ধারে নেমে গেছে।

গোলাপী প্রাসাদের ভিতরকার সাজসজ্জা

ভিডিও’তে মঞ্জিলের ভেতরকার সাজসজ্জা দেখতে পাবেন

আহসান মঞ্জিলের ভেতরে রয়েছে প্রায় ৩১ টি কক্ষ। ৩১ টি কক্ষের মধ্যে ২৩ টি কক্ষ প্রদর্শনীর জন্যে খুলে দেয়া হয়েছে। ৯ টি কক্ষ আহসান মঞ্জিলের দুর্লভ কিছু ছবির ন্যায় সাজানো হয়েছে। আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্যে নবাব আমলের বাবহৃত ডাইনিং টেবিল, সুবিশাল আয়না, সিন্দুক, অলংকার, কাচ ও চিনামাটির থালাবাসন, চেয়ার-টেবিল, তৈলচিত্র, আতরদানি, ফুলদানিসহ নানা বাবহৃত জিনিস। আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে প্রায় ৪ হাজার ৬৭ টি।

আহসান মঞ্জিলের ভিতরের সাজসজ্জা

আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ও তার ইতিহাস

১৯৫২ সালে যখন জমিদারি বিলোপ আইন পাশ হয়, তখন সরকার নবাবদের সম্পত্তি অধিগ্রহন করে। তবে আহসান মঞ্জিলকে তখন অধিগ্রহন করা হয়নি। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নবাব পরিবারের অধিকাংশ উত্তরাধিকারী বিদেশে পাড়ি জমায়। আর যেসব সদস্য থেকে যায় তারা এতবড় প্রাসাদটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য যথেস্ট ছিল না। ফলে প্রাসাদটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নবাব পরিবারের উত্তরাধিকারিরা মঞ্জিলটিকে নিলামে তুলতে চায়। কিন্তু আহসান মঞ্জিলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও এর স্থাপত্যশৈলী অনুধাবন করে শেখ মুজিবর রহমান এর নিলাম  এর প্রস্তাব বাতিল করেন। পরবর্তিতে ১৯৮৫ সালের ৩রা নভেম্বর সরকার আহাসান মঞ্জিলকে অধিগ্রহন করে। এরপর বাংলাদেশ জাদুঘর ও গনপূর্ত অধিদপ্তর যৌথভাবে জাদুঘর তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৯২ সালের ২০ নভেম্বর ঐতিহাসিক এই প্রাসাদটি সার্বজনীন জনসাধারনের পরিদর্শনের জন্য খুলে দেয়া হয়।

কেন যাবেন?

ঐতিহাসিক এই প্রাসাদে ভ্রমণ করে, ঘুরে দেখে আপনি ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারেন। নিজের চোখে এই মহাগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দেখে নিজেকে মহিমান্বিত করতে পারেন। স্বচক্ষে নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসসমূহ দেখে তৎকালীন বাংলার সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। আরো দেখতে পারবেন ঢাকার নবাবরা কিভাবে ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম  ফিল্টার পানির ব্যবস্থা করেন।

জনদরদি নবাব আব্দুল গনি প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে এই বিশুদ্ধকরণ কলটি স্থাপন করেন। ১৯০১ সালের আগে ঢাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল না। তখন প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয় করে ঢাকায় প্রথম বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখ্য যে সর্বপ্রথম ঢাকার আহসান মঞ্জিলে বিজলি বাতি জ্বলে। অসাধারণ এসব ইতিহাসের সাক্ষী তাই কেইবা না হতে চাইবে?

আহসান মঞ্জিল কিভাবে যাব?

আপনি যদি ঢাকার ভেতরে থাকেন তবে যেকোন স্থান থেকেই খুব সহজে যেতে পারবেন। আর যদি আপনি ঢাকার বাইরে থাকেন তবে আপনাকে প্রথমে ঢাকায় আসতে হবে। বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি সড়ক, নৌপথ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ‘

আর আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসতে চান তবে সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন উপায় ঢাকায় আসতে পারেন। সড়কপথে আসতে চাইলে আপনি বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে সড়ক পথে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন।

এখন ঢাকায় এসে আপনি কিভাবে আহসান মঞ্জিল এর পৌঁছাবেন। আপনি ঢাকার যে স্থানে থাকুন না কেন নিম্নোক্ত ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনি  পৌঁছে যাবেন ঐতিহাসিক এই প্রাসাদে।

  • প্রথমেই আপনাকে ঢাকার গুলিস্তানে আসতে হবে। ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে, রিকশায় অথবা সিএনজিতে করে খুব সহজেই আপনি গুলিস্তানে পৌঁছাতে পারবেন।
  • এরপর আপনাকে যা করতে হবে সেটা হলো ইসলামপুরে যেতে হবে। ইসলামপুরের যেতে হলে আপনাকে গুলিস্তানের নর্থ সাউথ রোড ধরে নয়াবাজার মোড় হয়ে বাবুবাজার ব্রিজের দিকে এগোতে হবে।  বাবুবাজার ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বাম দিকে একটা রাস্তা দেখবেন। 
  • এই রাস্তা ধরে একটু  অগ্রসর হলেই  ইসলামপুর পৌঁছে যাবেন।  এখন যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই আপনাকে আহসান মঞ্জিল এর রাস্তা দেখিয়ে দিবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি গুলিস্তান থেকে আপনি একটা রিক্সা নিয়ে নেন।
  • অন্য আরেক ভাবেও আপনি আহসান মঞ্জিলের যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সদরঘাট যেতে হবে।  ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে সদরঘাটে সড়ক পথে বাসে করে যাওয়া যায়।

এরপর রিকশায় চড়ে খুব সহজেই প্রাসাদটিতে পৌঁছে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে রিক্সাভাড়া বাবদ ২০ থেকে ৩০ টাকা গুনতে হতে পারে।

আহসান মঞ্জিল পরিদর্শনের সময়সূচী

আহসান মঞ্জিল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। শুক্রবার অর্ধ-দিবস খোলা থাকে। সকল সরকারী ছুটিতে আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে। এছাড়া পবিত্র রমজান মাসে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

আহসান-মঞ্জিল-জাদুঘর-সময়সূচী
সময়সূচী ও প্রবেশ ফি

নিচে বিস্তারিত সময়সুচি উল্লেখ করা হল।

গ্রীষ্মকাল শীতকাল 
দিনসময়সূচীদিনসময়সূচী
শনিবারসকাল ১০.৩০- বিকাল ৫.৩০শনিবারসকাল ৯.৩০-বিকাল ৪.৩০
রবিবারসকাল ১০.৩০-বিকাল ৫.৩০রবিবারসকাল ৯.৩০-বিকাল ৪.৩০
সোমবারসকাল ১০.৩০- বিকাল ৫.৩০সোমবারসকাল ৯.৩০-বিকাল ৪.৩০
 মঙ্গলবারসকাল ১০.৩০-বিকাল ৫.৩০ মঙ্গলবারসকাল ৯.৩০-বিকাল ৪.৩০
 বুধবারসকাল ১০.৩০-বিকাল ৫.৩০ বুধবারসকাল ৯.৩০-বিকাল ৪.৩০
 বৃহস্পতিবারসাপ্তাহিক বন্ধের দিন। বৃহস্পতিবারসাপ্তাহিক বন্ধের দিন।
 শুক্রবারবিকাল ৩ টা -সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ শুক্রবারবিকাল ৩ টা -সন্ধ্যা ৭ টা ৩০

আহসান মঞ্জিলের প্রবেশ টিকিট মূল্য কত?

দাঁড়ান! আপনি যদি এই লেখাটি আহসান মঞ্জিলে যাত্রা শুরুর পূর্বে কোনো সময় পড়ছেন, তবে আগে অনলাইন প্রবেশ টিকিট কাটুন। গেট থেকে স্বশরীরে টিকেট কাটার কোনো সুযোগ নেই। এই ঠিকানা থেকে টিকেট কাটুন। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই? চিন্তা নেই, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যেমন বিকাশ দিয়ে পে করতে পারবেন।

  • ১২ বছরের কম বয়সী বাংলাদেশী দর্শনার্থীঃ ১০ টাকা
  • প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী দর্শনার্থীঃ ২০ টাকা
  • সার্কভুক্ত দেশের দর্শনার্থীঃ ৩০০ টাকা
  • সার্কভুক্ত ব্যতিত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকঃ ৫০০ টাকা

কোথায় খাবেন?

আহসান মঞ্জিল
মঞ্জিলের ফটকের পাশের কলকাতা কাচ্চি তে যেমন খেয়েছিলাম আমরা!

আহসান মঞ্জিল যেহেতু ঢাকার ভেতরে অবস্থিত, বিশেষত পুরান ঢাকায়  হওয়ায় খাবারের জন্য পুরানো ঢাকার বিখ্যাত সব হোটেলে  নিতে পারেন মোগল ও নবাবি খাবারের স্বাদ। কেল্লার প্রধান ফটকের আশেপাশেই অনেকগুলো ভাল রেস্টুরেন্ট রয়েছে।  সবগুলোতেই প্রায় পাওয়া যাবে পুরান ঢাকার বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানি

এক ঢিলে দুই পাখি!

একসাথে অসাধারণ এই ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে পারলেন  অন্যদিকে পুরান ঢাকার বিখ্যাত সব খাবারের স্বাদও নিয়ে যেতে পারলেন।

খারাপ না তাই না? ?

কোথায় থাকবেন?

আপনি যদি ঢাকার বাইরে থেকে অথবা বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসেন তবে আপনাকে রাত্রিযাপনের  জন্য কোনো হোটেলে অবস্থান করতে হতে পারে। প্রাসাদটি থেকে অল্প দূরত্বের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর হোটেল। যেগুলোতে খুব অল্প  খরচেই রাত কাটাতে পারবেন।

আশেপাশে আর কোথায় যেতে পারেন?

মঞ্জিলটি পুরানো ঢাকায়  অবস্থিত হওয়ায়  পুরানো ঢাকার আরো অনেকগুলো বিখ্যাত নিদর্শন দেখে আসতে পারেন।

আপনি চাইলেই পুরান ঢাকার –

তাছাড়া গোলাপী প্রাসাদটি থেকে মাত্র ৮ মিনিটের দূরত্বে আর্মেনিয়াম চার্চচাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

আর যদি এক কিলোমিটারের মতো দূরত্বের কষ্ট সহ্য করতে পারেন তবে বাংলাদেশ জাতীয় শহীদ মিনার, আর একটুখানি দূরে বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রাণ বিন্দু রমনা পার্কে ঘুরে আসতে পারেন।

উপসংহার

আহসান মঞ্জিল! কারও কাছে এটি ইংরেজদের চাটুকার স্থানীয় প্রতাপশালী উপাধী-প্রাপ্ত ‘নবাবদের’ রঙ্গমহলের প্রতিচ্ছবি আবার কারও কাছে তা পূর্ববাংলা বা পুরো ভারতবর্ষের  মুসলিম রাজনীতি ও আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুর প্রতিচ্ছবি।

তবে সাধারন একজন বাঙালী হিসাবে একজন বাংলাদেশী হিসাবে পুরান ঢাকার এই গোলাপী প্রাসাদটি আধুনিক বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।

ভ্রমণচারীরা বার বার যা জিজ্ঞাসা করে

আহসান মঞ্জিল কি বার বন্ধ থাকে?

আহসান মঞ্জিল ও আহসান মঞ্জিল জাদুঘর প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে

আহসান মঞ্জিল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

১৮৭৮ সালে

আহসান মঞ্জিল প্রাসাদ টি কে তৈরি করেন

নবার আব্দুল গণি

আহসান মঞ্জিল নামকরণ করেন কে

নবার আব্দুল গণি

আহসান মঞ্জিল এর প্রতিষ্ঠাতা কে

নবার আব্দুল গণি

আহসান মঞ্জিল কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

বুড়িগঙ্গা

ভ্রমণ, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় আসক্ত। কাচ্চির আলু আর দুধ খেজুরে পিঠার পাগল। নিজের ভ্রমণ গল্পগুলো লিখি এখানে। ফেসবুক, টুইটারে আমাকে অনুসরন করতে পারেন!

Twitter | Facebook

মন্তব্য করুন