বিউটি বোর্ডিং বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় অবস্থিত এক কালের কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাস্থল, রেস্টুরেন্ট এবং সৃজনশীলতা চর্চাের কেন্দ্রবিন্দু।
এমন কোনো বিখ্যাত লেখক, কবি কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তি নেই যার পদচারণ বোর্ডিংটিতে পড়েনি। এই বোর্ডিং থেকেই সাহিত্যচর্চা কিংবা সৃজনশীল কাজকর্ম যে শাখায় হোক না কেন, সাধারন মানুষেরা সৃষ্টি করেছেন অসাধারন– হয়েছেন অনন্য।

এই তো কয়েকদিন আগে কয়েকজন বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম ঐতিহাসিক এই স্থানের সাক্ষী হতে।
গিয়েছি, দেখেছি এবং ঝুলিতে অসাধারন এক অভিজ্ঞতা যোগ করেছি-সৃজনশীলতার এই তীর্থভূমি সম্পর্কে বিস্তর জেনেছি।
শুধু তাই নয়, ঘুরে আসার পর বোর্ডিংটি সম্পর্কে আস্ত একটা বইও পড়ে ফেলেছি।
এসবের আলোকে তাই পুরো লেখা জুড়ে আপনাকে জানাব-
চলুন শুরু করা যাক!
বিউটি বোর্ডিং কিভাবে যাবেন?
যারা ঢাকার বাইরে থাকেন প্রথমে ঢাকায় আসুন। অতঃপর পুরান ঢাকার সদরঘাটে চলে আসুন। ঢাকার সবস্থান থেকে সদরঘাট আসা যায়। তারপর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নামুন।
এখন ভিক্টোরিয়া পার্কের পশ্চিমের নর্থবুক হল রোড ধরে মিনিট পাঁচেক হাটলে সামনে চার রাস্তার মোড় পাবেন। বামের প্যারিদাস লেন রোড দিয়ে ১০ মিটার এগিয়ে বামের গলিতে টার্ন নিলেই শ্রীশদাস লেনের বিউটি বোর্ডিং পৌছে যাবেন।
এক নজরেঃ নর্থবুক হল রোড ধরে ৫ মিনিট হাঁটুন/রিকশায় যান>চার রাস্তার মোড়ে পৌছে বাম দিকে টার্ণ নিন> প্যারিদাস লেন রোডে পৌছে গেলেন> শ্রীস দাস লেন ঢুকতেই ডান হাতে পড়বে বিউটি বোর্ডিং।
বিউটি বোর্ডিং কোথায় অবস্থিত?
দর্শনীয় স্থান | বিউটি বোর্ডিং |
অবস্থান | ১ নং শ্রীশদাস লেন, পুরাণ ঢাকা, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আয়তন | ১৩ কাঠা বা ০.২ একর |
নির্মাতা | জমিদার সুধীর চন্দ্র দাস |
প্রতিষ্ঠাতা | প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৩ সাল (মতান্তরে ১৯৫২-৫৪) |
বর্তমান পরিচালক | সমর সাহা ও নলিনী মোহন সাহা |
বিউটি বোর্ডিং এ কি দেখবেন? কি করবেন?

বিউটি বোর্ডিং শুধু অবকাঠামো নয়, এক অনুপ্রেরণার নাম।
কিছু জিনিস আছে যা দেখে উপলব্ধি করা যায়না, শুনে বুঝা যায়না, সেগুলো হলো অভিজ্ঞতা। বিউটি বোর্ডিং ভ্রমণ আপনাকে ইতিহাসের সাক্ষি করে তেমনই এক অভিজ্ঞতা দিবে।
বোর্ডিংয়ের ২৫ টি আবাসিক কক্ষে চাইলে রাত কাটাতে পারবেন।
যদি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা বাদও দেই, তবুও ঢাকায় নিরিবিলি গ্রামীন পরিবেশে একদম স্বল্প ভাড়ায় রাত কাটাতে চাইলে বোর্ডিংটি অসাধারন একটা পছন্দ হতে পারে।


দ্বিতল ভবনের মোট ২৫ টি আবাসিক কক্ষের ১২ টি কক্ষ সিঙ্গেল বেডের।
ভাড়া নিতে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র/স্টুডেন্ট আইডি, বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট নিয়ে যাবেন।
ডাবল বেডের ভাড়া প্রতিরাতে ৫০০ টাকা এবং সিঙ্গেল বেডের ভাড়া ২৫০ টাকা করে।
এছাড়া যা যা করা যায়ঃ
- এখানের বাঙালী খাবার খুবই জনপ্রিয়।
- সন্ধাবেলার সুস্বাদু লুচি ।
- ছবি তোলার জন্য সুন্দর একটা লোকেশন হতে পারে।
ইতিহাসে অবগাঁহন
বিউটি বোর্ডিং এর আসল নির্মাতা ছিলেন নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাস (তখন এটি জমিদারবাড়ি বলে পরিচিত ছিল)
এই বাড়িতে পরিচালিত হতো তৎকালীন দৈনিক সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস ও ছাপাখাঁনা।
সিংহভাগ কবি সাহিত্যিকদের কবিতা প্রকাশনার হাতেখড়ি হতো এই পত্রিকায়। যেমন, সোনার বাংলা পত্রিকা থেকেই বিখ্যাত কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা মূদ্রিত হয়েছিল। নীচতলায় ছিল কম্পোজ সেকশন।
ট্রেডল মেশিনে দু’পাতা দু’পাতা করে ছাপানো হতো সোনার বাংলা পত্রিকা। পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়। এই সুনীল কুমারই প্রথম শামসুর রাহমানের কবিতা ছেপেছিলেন।
এরই সূত্রে সোনার বাংলা পত্রিকার অফিসে কবি সাহিত্যিকদের আনাগোনা লেগেই থাকত।
তবে, ৪৭’ এর দেশভাগের পত্রিকা অফিসটি ঢাকা থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়।
তারপর প্রায় দুই বছর (‘৪৭-’৪৯) যাবৎ বাড়িটি শূন্য পড়েছিল।
পরবর্তীতে (১৯৪৯ সালে) এই বাড়িটি ভাড়া নেয় মুন্সিগঞ্জের দুই ভাই প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন সাহা এবং চালু করেন “বিউটি বোর্ডিং”। ইতিহাস বলা শেষ হলেই, নামকরন সম্পর্কে বলছি।
যাহোক, সেই যে দৈনিক সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস ঘিরে কবি-সাহিত্যিকদের উঠা-বসা শুরু হয়, পত্রিকা অফিস চলে গেলেও তাদের জমায়েতের ঘাটতি পড়েনি।
মূলত, এর কারণ ছিল বাংলাবাজার এলাকাজুড়ে ছাপাখাঁনা এবং কবি-সাহিত্যিকগণের আড্ডা দেয়ার জন্য আদর্শ একটা জায়গার প্রয়োজন ছিল।
ঠিক, তেমন একটা অবস্থায় বাড়িটিতে আবাসিক বোর্ডিং ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালু যেন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে দেয়। তারপর পত্রিকা অফিসের সূত্রে বাড়িটিতে কবি-সাহিত্যিকদের আগে থেকেই উঠা-বসা ছিল।
এছাড়া আরেকটি বড় কারন ছিল প্রতিষ্ঠাতা প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহার আন্তরিক ব্যবহার। তিনি যেমন মিশুক ছিলেন তেমন ব্যবহারও ছিল অত্যন্ত চমৎকার। সহজেই আড্ডা জমিয়ে তুলতে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল।
আর ঠিক এভাবেই, বোর্ডিংটি হয়ে ওঠে কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা।
প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা শুরুতে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া করে ব্যবসা চালাতে থাকলেও পরে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে পুরো বাড়িটি বুঝে নেন।
২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করলে বিউটি’র তুমুল আড্ডায় ছেদ পড়ে।
পাক আর্মিরা খবর পায় যে বিউটি বোর্ডিং বাংলাদেশের মেধাবীদের আড্ডাস্থল। অতঃপর হামলা!
২৮ মার্চ বোর্ডিংটি ঘিরে ফেলা হয় এবং এর মালিক প্রহ্লাদ সাহা, বোর্ডিংয়ের ম্যানেজার, বোর্ডারসহ প্রায় ১৭ জনকে হত্যা করে পাকবাহিনী।

১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে শহীদ প্রহ্লাদ সাহার স্ত্রী, তার দুই ছেলে তারক সাহা ও সমর সাহাকে নিয়ে চালু করেন বোর্ডিং ব্যবসা। কিন্তু, আগের ইমেজ তত দিনে হারিয়ে যায়।
কবি বেলাল চৌধুরী ও শহীদ কাদরী আবারো আড্ডা জমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চাঞ্চল্যকর মুহূর্তগুলো আর ফিরে আসেনি। তবে সৈয়দ শামসুল হক এখান থেকেই সৃষ্টি করেছেন এক মহিলার ছবি, জনক ও কালো কফিন, আরণ্যক, সীমানা ছাড়িয়ের মতো সাহিত্যকর্মগুলো।
স্বাধীনতা-উত্তর ঢাকা এত দ্রুত বাড়তে থাকে যে অচিরেই এটি একটি বিশাল জনসংখ্যার নগরীতে পরিণত হয়। নতুন ঢাকার বিকাল মূল ঢাকাকে পুরনো করে ফেলে।
ফলে আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু না থাকলেও বিউটি বোর্ডিং অন্যরকম স্থান দখল করে রেখেছে সবার মনে।
তাই কোন পূনর্মিলনের ডাক পেলেই সবাই হাজির হন সাহিত্য-সংস্কৃতির এই তীর্থক্ষেত্রে।
নামকরন কিভাবে হলো?
বিউটি বোর্ডিংয়ের নামকরণ করা হয়-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নলিনী মোহন সাহার বড় মেয়ে “বিউটির” নামে।
যেভাবে বিউটি বোর্ডিং খ্যাতনামা হলো
কিভাবে বিখ্যাত হলো তার একটুখানি ধারনা পাবেন লেখক শামসুল হকের আত্নজীবনী থেকে।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক থাকতেন লক্ষীবাজারে, এখন যেখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজ, তার পাশের এক বাড়ীতে।
সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে বিউটি বোর্ডিং আসতেন। তখন তার নিজের লেখার জন্য কোন জায়গা ছিল না। বাসার বারান্দায় বাঁশ দিয়ে ঘেরা একটা জায়গায় থাকতেন তিনি। লেখার জন্য তিনি বিউটি বোর্ডিং ব্যবহার করতেন।
এই ভবনের এই পাশের কোণায় যে জানালাটি দেখা যায়, সেখানে চেয়ার-টেবিল পেতে লিখতেন।
সকাল ৮ টা থেকে ১০-১১ টা পর্যন্ত লিখতেন, তারপর বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবার দুপুর ২ টা কি আড়াইটায় আসতেন, বিকেল সাড়ে ৫ টা-৬ টা পর্যন্ত লিখতেন, তারপর আড্ডা শুরু হতো।।
রাত সাড়ে ৯-১০ টায় আড্ডা ভেঙে গেলে আবার ঐ কোণায় বসে লিখতেন।
‘৫৭ থেকে শুরু করে ‘৬২ সাল পর্যন্ত সময়ের লেখাগুলো, প্রায় সব লেখা এই বিউটি বোর্ডিংয়ের ঐ কোণায় বসে লেখা।
সৈয়দ শামসুল হকের লেখা- এই মহিলার ছবি, রক্ত গোলাপ, জনক ও কালো কফিন, অনুপম দিন, সীমানা ছাড়িয়ে,তারপর একদাঁ এক রাজ্যের কবিতাগুলো, বিরতিহীন উৎসবের কবিতাগুলো প্রায় সবই এখানে বসে লেখা।
আশ্চর্যজনক, তাইনা?
অসামান্য প্রতিভাবান এক মানুষ যিনি কিনা লেখার জন্য কোন জায়গা পেতেন না, তিনি এখানে বসে শব্দের জাদু দিয়ে হয়েছেন খ্যাতিমান!
এমন কত শত কবি-সাহিত্যিকের মিলনমেলা যে ছিল এই বিউটি বোর্ডিং তা বলে শেষ করা যাবেনা।
‘৭১ এর পূর্ব পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব বিখ্যাত কবি-লেখক পদচারণায় মুখরিত হয়েছে এই বোর্ডিংটির প্রাঙ্গন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কোন না কোন রেস্তোরা পাওয়া যাবে যা লেখক-শিল্পীদের আড্ডার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
যেমন ঢাকার বিউটি বোর্ডিং বা বর্তমান শাহবাগ, ঢাকার বাইরে কুমিল্লার দাদার রেস্তোরা, চট্রগ্রামের মোমিন রোডের চায়ের দোকান, ময়মনসিংহের তাজমহল হোটেলের আড্ডা, নারায়নগঞ্জের বোস কেবিন, চাঁদপুরের কৃষ্টক্যাফে।
সারাদেশ খুজলে এমন বহু আড্ডার জায়গা পাওয়া যাবে হয়ত।
কিন্তু, বিউটির বিশেষত্ব ছিল আলাদা। এখানে যারা আসতেন তারা সত্যিই সৃষ্টিশীল ছিলেন, কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে আসা চাল নেই, চুলো নেই, এমন প্রতিভার সবই এখানে এসে জুটতেন।
আর তাদের সবার ঝুট-ঝামেলা মেটানোর জন্য বোর্ডিংয়ের মালিক প্রহ্লাদ বাবু খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতেন। এসব বিষয় ছাড়াও বোর্ডিংটির শ্রেষ্ঠত্বের অজস্র কারন ছিল।
জন্মলগ্ন থেকেই এখানে আড্ডা দিতেন এদেশে প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
এখানে শেখ মুজিবুর রহমান বসেও বিভিন্ন সময়ে সভা সমাবেশ করেছেন, দিয়েছেন দিকনির্দেশনা।
তবে, এখানকার জমজমাট আড্ডার প্রাণপুরুষ ছিলেন কবি শহীদ কাদরী ও বেলার চৌধুরী। কবি শহীদ কাদরী এখানে সকাল-বিকাল এসে চা খেতেন এবং আড্ডা দিতেন ও অন্যদের অনুপ্রেরণা দিতেন। মূলত তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই বিউটি বোর্ডিং হয়ে ওঠে দেশের শিল্প-সাহিত্যে র আড্ডার প্রাণকেন্দ্র।
দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমানও এখানে সকাল-সন্ধাবেলা আড্ডা দিতেন। এখানে বসেই লেখা হয় তার বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা।
চলচিত্রকার আবদুল জব্বার খাঁন বিউটি বোর্ডিংয়ের ভেতরের প্রকোষ্ঠে বসে তৈরি করতেন চলচিত্রের চিত্রনাট্য। এখানে বসে তিনি লেখেন বাংলার প্রথম সবাক ছবি “মুখ ও মুখোশ” এর পান্ডুলিপি।
বহু গানের সুর করেছেন সমর দাস এখানে বসেই।
বিউটি বোর্ডিং এ কি খাবেন? (খাবারের মূল্য তালিকাসহ)

বিউটি বোর্ডিং এর খাবার এখানে ঘুরতে যাবার অন্যতম সেরা একটা কারণ। কবি-সাহিত্যিকদের এখানে আড্ডা দেবার গুরুত্বপূর্ন একটি কারন ছিল এখানকার চা-লুচি।
এখানকার বাঙালী খাবার (যা বেশিরভাগ) রেস্টুরেন্টেই পাবেন না। যেমনঃ
- পাঁচ তরকারী
- বড়া
- মোচা-ইচড়
- বোয়াল মাছ
- আইড় মাছ
- শোল মাছ
- কৈ মাছ
- পাবদা মাছ
- বাতাসি মাছ
- শিং মাছ
- চাটনি
এসবের অনেক খাবার অন্য কোথাও পাবেন না, আর এখানকার রান্না তো অতুলনীয়, এমন অসাধারন স্বাদ আপনি খুব কম স্থানেই পাবেন।

তবে, এসবের স্বাদ নিতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে দুপুর বেলা আসতে হবে।
আরেকটা স্পেশাল ডেজার্ট এখানে পাবেন তা হলো লুচি। এখানকার লুচি আর ডাল এক কথায় অতুলনীয়। গেলে কিন্তু এটা না খেয়ে আসবেন না।
আশেপাশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়?
বিউটি বোর্ডিং এর একদম সন্নিকটে ঘুরে দেখার মত বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ভ্রমণ পরিকল্পনায় একসাথে এগুলো রাখতে পারেন।
- বাহাদুর শাহ পার্ক
- লালবাগ কেল্লা
- আহসান মঞ্জিল
- বলধা গার্ডেন
- রোজ গার্ডেন প্যালেস
বারবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ
বিউটি বোর্ডিং কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ঠিক কবে, ঐতিহাসিক এই বোর্ডিংটি যাত্রা শুরু করে তা সুস্পষ্ট নয়। এখন যারা বিউটি বোর্ডিং চালাচ্ছেন তারক-সমর-তারাও জানেনা। তাদের বাবা কবে এটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শেষ ভাবনা
বিউটি বোর্ডিং সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ইতিহাস বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আমার, এজন্য এই লেখার জন্য পেছনে বিশাল একটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে।
তাই এই লেখাটি যদি আপনাকে এই ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা কিংবা গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে, তবে মন্তব্য করে জানান কেমন লাগলো, আর তথ্যগত কোনো ভুল হয়েছে কিনা কিংবা আর কি কি তথ্য যোগ করা যেতে পারে।
আনন্দে থাকুন!